আ.লীগ একাত্তরকে নিজেদের ব্যবসায়িক ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত করেছিল

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে দেশের মানুষ রক্ত এবং জীবন উৎসর্গ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পর প্রত্যাশা ছিল পাকিস্তান যে বৈষম্য চালিয়েছিল, তা থেকে দেশ মুক্তি পাবে এবং বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হবে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পর ক্ষমতায় আসা যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিল, তারা পাকিস্তানের চেয়েও বেশি স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছিল। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ একাত্তরের মূল্যকে নিজেদের ব্যবসায়িক ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত করেছে। তবে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর আর কেউ স্বৈরাচারী হবে না বলে আমার বিশ্বাস।”

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর কারমাইকেল কলেজ ক্যাম্পাসে স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও ডিপার্টমেন্ট প্লেসধারী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের প্রধান দুটি দাবি ছিল—জুলাই গণহত্যার বিচার এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণভাবে সংস্কার হয়নি। নির্বাচনের জন্য আরও ভালো পরিবেশ প্রয়োজন।”

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি থাকা প্রয়োজন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে দেখা গেছে, ক্ষমতায় যারা এসেছে তারা ফ্যাসিবাদীভাবে দেশ পরিচালনা করেছেন। তাই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি থাকা অত্যন্ত জরুরি। আইনিভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন অনিশ্চিত থাকবে।”

আগামী নির্বাচনে ছাত্রশিবির প্রশাসনের সহযোগিতা করবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি জানান, “প্রশাসন যদি আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কাছে সহযোগিতা চায়, আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করব।”

তিনি আরও বলেন, “ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে আমাদের সবচেয়ে জোর দাবি ছিল—সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি চালু করা। প্রাথমিকভাবে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন দেখেছি। আশা করি প্রশাসন দ্রুত তারিখ ও ইস্তেহার ঘোষণা করবে এবং ধাপে ধাপে দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে নির্বাচন সম্পন্ন হবে।”

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইসলামী ছাত্রশিবির কারমাইকেল কলেজ শাখা সভাপতি আবু সুফিয়ান, বক্তব্য দেন জামায়াত কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মাহবুবার রহমান বেলাল, মহানগর শিবির সভাপতি নুরুল হুদা ও অন্যান্য নেতারা।