আগামী সংসদে কারা যাবে, তার নির্ধারকের ভূমিকায় থাকবে এনসিপি: সারজিস আলম
- জয়পুরহাট প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৪:০২ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২৫

আগামী দুই মাসের মধ্যেই দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সংগঠন গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তোলার পর আগামী জাতীয় সংসদে কারা প্রতিনিধিত্ব করবে—তা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এনসিপি।
সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে জয়পুরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সকাল ৯টা থেকে সেখানে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের এনসিপি নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার আয়োজন করে জয়পুরহাট জেলা নাগরিক পার্টি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সারজিস আলম বলেন, “আমরা মনে করি, আগামীর বাংলাদেশে সরকার গঠনে নির্ধারকের ভূমিকায় থাকবে এনসিপি। এটা হওয়ার জন্য ৫০ শতাংশ ভোট পাওয়ার দরকার হয় না। একটি দেশে যখন তিনটি বড় রাজনৈতিক দল থাকে এবং তৃতীয় দলটিরও যথেষ্ট জনসমর্থন থাকে, তখন এক ও দুই নম্বর দলের ভোট কাছাকাছি হলে তৃতীয় দলই হয়ে ওঠে নির্ধারক।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আগামীর বাংলাদেশে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে থাকতে চাই। যদি সেটা না হয়, তাহলে শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে কাজ করতে চাই। আমরা জাতীয় পার্টির মতো ‘পোষা বিরোধী দল’ হওয়ার জন্য রাজনীতিতে আসিনি।”
সারজিস আলম বলেন, “এনসিপি সর্বদা জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দেবে। কারণ জনগণের স্বার্থ রক্ষা মানেই দেশের স্বার্থ রক্ষা। জুলাই সনদেও আমরা সেই দর্শনের প্রতিফলন দেখিয়েছি। তবে সনদের বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তি ও স্পষ্ট দিকনির্দেশনা না থাকায় আমরা দায়সারা স্বাক্ষর করিনি।”
তিনি যোগ করেন, “আমরা দলীয় সুবিধা চাই না। যেসব বিষয়ে তারা (অন্য রাজনৈতিক দলগুলো) ঐকমত্যে পৌঁছেছে, সেগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে রোডম্যাপ ও নিশ্চয়তা চাই। শুধু নির্বাচনে অংশ নিয়ে কয়েকটি আসন পাওয়ার উদ্দেশ্যে আমরা কোনো সনদে স্বাক্ষর করতে পারি না। এটা জনগণের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী।”
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাকিব মাহদী এবং জয়পুরহাট জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী ওমর আলী প্রমুখ।