মা-ছেলে হত্যা, মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য
- বগুড়া প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১০:১২ এম, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

বগুড়ার শিবগঞ্জে চাঞ্চল্যকর মা-ছেলেকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় এক মাস পর অবশেষে প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে খোয়া যাওয়া মোটরসাইকেলটিও।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মহির উদ্দিনের ছেলে মাহি ইসলাম (১৮), আব্দুল জলিলের ছেলে শাহিনুর রহমান জিসান (১৯) এবং শহিদুল ইসলামের ছেলে সৈকত (২০)।
পুলিশ জানায়, নিহত ইমরানের মামাতো ভাই জিসান পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই বন্ধু মাহি ও সৈকতকে সঙ্গে নিয়ে ওই রাতে বাড়িতে যায়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ইমরানের মোটরসাইকেল চুরি করে বিক্রি করা, যাতে ঋণ শোধ ও মাদকের টাকা জোগাড় করা যায়। চুরির সময় ইমরান বাধা দিলে তারা প্রথমে তাকে, পরে তার মা রাণী বেগমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর ঘর থেকে স্বর্ণালংকার ও মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় তিনজন।
তদন্তে নেমে পুলিশ গত ১৫ অক্টোবর ঢাকার আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুর এলাকা থেকে মাহি ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নওগাঁ সদর থেকে লুণ্ঠিত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। এরপর শনিবার সকালে ঢাকার খিলক্ষেত থানার ডুমনি বাজার এলাকা থেকে জিসান ও সৈকতকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুজ্জামান বলেন, “চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের তিন আসামি দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল। তারা বিভিন্ন মাজার এলাকায় লুকিয়ে থেকেছে এবং কখনও ছদ্মবেশে ওয়াইফাই সংযোগের লেবার হিসেবেও কাজ করত। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, তিন আসামিই মাদকাসক্ত এবং ঋণের বোঝায় জর্জরিত ছিল। অর্থনৈতিক সংকট ও মাদকের আসক্তি থেকেই তারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে শিবগঞ্জের সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের বটতলা গ্রামে রাণী বেগম (৪০) ও তার ছেলে ইমরান হোসেনকে (২২) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।