ফরিদপুরে বিএনপির ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের চার জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার পর শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কলেজ রোডের চুয়াল্লিশের মোড় এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোশবুর রহমান খোকন, উপজেলা যুবদলের কর্মী রমজান মোল্যা, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আরব আলী এবং আলফাডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম।

আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজালাল আলম নিশ্চিত করেছেন, “শুক্রবার রাতে হামলার অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ মামলার আসামি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোশবুর রহমান খোকনসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”

মামলা দায়ের করেন বোয়ালমারী উপজেলার রূপপাত ইউনিয়নের কুমড়াইল গ্রামের ছাত্রদল নেতা বনি আমিন। তার অভিযোগ, তাকে এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য এ কে এম উজ্জ্বল হোসেনকে মারধর করে আহত করা হয়েছে। মামলায় মোট ছয়জনের নাম উল্লেখ রয়েছে এবং প্রায় ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে নাম উল্লেখিত আসামিদের মধ্যে রয়েছে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোশবুর রহমান খোকন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম দাউদ, উপজেলা যুবদল নেতা রমজান মোল্যা, উপজেলা তাঁতি দলের সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন, পৌর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মো. কাইয়ুম সিকদার এবং পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আরব আলী।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি বর্তমানে দুই ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, অন্য পক্ষের নেতৃত্বে আছেন বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু। এই দুই নেতা ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী) আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। শামসুদ্দিন মিয়ার পক্ষে আলফাডাঙ্গায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন খোশবুর রহমান খোকন।

সম্প্রতি খোশবুর রহমান খোকনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিরোধী পক্ষের সদস্যদের একটি পোস্ট প্রকাশিত হয়। এরপর শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আলফাডাঙ্গা সদর বাজারে নাসির পক্ষের বোয়ালমারী উপজেলার সাবেক ছাত্রদল নেতা বনি আমিনের ওপর খোশবুরের সমর্থকদের হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহত বনি আমিনকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে নাসির পক্ষের আরেক সমর্থক এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য একেএম উজ্জ্বলের ওপরও হামলা চালানো হয়। উভয়েই আহত হন। হামলার অভিযোগে মামলা শুক্রবার রাতেই আলফাডাঙ্গা থানায় রেকর্ড করা হয়।