সংবিধানের দোষ নেই, রাতের ভোট দিনে করেছেন যারা দোষ তাদের: জাহিদ হোসেন
- মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৬:৪২ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নির্বাচন ঘিরে বিতর্ক চলতে থাকলেও সংবিধানকে দোষারোপ করা যুক্তিযুক্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তার মতে, দেশে ভোটাধিকার হরণ ও স্বৈরশাসনের জন্য দোষী তারা, যারা গণতন্ত্রের আড়ালে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মৌলভীবাজার শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত পৌর বিএনপির সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সম্মেলনে জাহিদ হোসেন বলেন, "আজ অনেকেই বলছেন পিআর ছাড়া নাকি নির্বাচন হবে না এবং পিআর ছাড়া নাকি শাসক স্বৈরাচার হয়ে যাবে। সংবিধানের তো কোনো দোষ নেই, দোষ হচ্ছে যারা রাতের ভোট দিনে করেছেন।"
তিনি অভিযোগ করেন, যারা রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হাতে থাকার কথা, তারা বরং নিরাপত্তা বাহিনী, প্রশাসন এবং বিচার বিভাগের কিছু অংশকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকার কৌশল নিয়েছেন। তারা দেশকে নিজের সম্পত্তি মনে করে চালানোর চেষ্টা করছেন, অথচ সংবিধানে এমন কোনো নির্দেশনা নেই।
তার ভাষ্য, "সংবিধানে তো খুব ভালো ভালো কথা লেখা ছিল। সংবিধান স্বৈরাচার হতে বলেনি। জনগণের ভোটের যাদের প্রয়োজন পড়েনি, সেই মানুষগুলো নিজেরা কর্তৃত্ববাদী হয়েছেন। স্বৈরাচর হিসেবে নিজেদের আবিভূত করেছেন। কাজেই স্বৈরাচর যদি রুখতে হয় রাজনৈতিক যে মানসিকতা, রাজনৈতিক যে কালচার সেটার মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে।"
প্রত্যক্ষ নির্বাচন (পিআর) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রচার চালানো যেতে পারে, তবে তা হতে হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়। তিনি বলেন, "পিআর চান খুব ভালো কথা। পিআরের কথা বলে জনগণের কাছে যান। জনগণকে বুঝান, জনগণ মেনে নিলে আলহামদুলিল্লাহ। জনগণ যে রায় দেবে, সবাই মেনে নেবে।"
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে জাহিদ হোসেন বলেন, যখন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল, তখন বিএনপিবিরোধী মহল মাঠে নেমে কর্মসূচি দিয়ে সমঝোতার পথ বন্ধ করতে চেয়েছে। "আপনারা কি সংঘাতের দিকে যেতে চান। আলোচনার টেবিলকে কি অবিশ্বাস করতে চান। নাকি অন্য কিছু চান?" প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মৌলভীবাজার পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মমশাদ আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ুন এবং সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন। জেলা ও স্থানীয় বিএনপি নেতারাও এই সম্মেলনে অংশ নেন।