
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত কার্যালয়ের নিচতলায় শুক্রবার রাতে ‘মিউজিক পার্টি’ আয়োজন করে কিছু শিক্ষার্থী ও স্থানীয় যুবক। এ সময় ব্যঙ্গাত্মকভাবে বাজানো হয় আওয়ামী লীগের থিম সং ‘জয় বাংলা, জিতবে আবার নৌকা’। হঠাৎ এই গান শুনে অনেকে ধারণা করেন, আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে একদল লোক এসে হামলা চালায় এবং মিউজিক পার্টির সরঞ্জাম ভাঙচুর করে।
হামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত আরিয়ান আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী আহত হন। খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহার মিয়া ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সলিম উল্লাহ সেলিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সেলিম নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হয়ে সবাইকে সেখান থেকে সরে যেতে বলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের এক বছরপূর্তি ও ১৫ আগস্ট উপলক্ষে কিছু শিক্ষার্থী ‘মিউজিক পার্টি’র আয়োজন করেন। সেখানে ‘জয় বাংলা, জিতবে এবার নৌকা’, ‘পালিয়েছে, শেখ হাসিনা পালিয়েছে’সহ বিভিন্ন গান বাজানো হচ্ছিল। গান শুনে বিভ্রান্ত হয়ে একদল লোক হামলা চালায়, ভাঙচুর করে এবং স্লোগান দেয় “ফ্যাসিবাদকে প্রতিহত কর”।
পুলিশ শুরুতে পার্টিতে বাঁধা দিতে চাইলেও পরে বুঝতে পারে, এটি আওয়ামী লীগের পক্ষে কোনো আয়োজন নয়, বরং ব্যঙ্গাত্মক ছিল। তখন তারা সরে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফরিদগঞ্জের বিএনপির এক নেতা গান শুনে আপত্তি জানানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই হামলা হয়।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সলিম উল্লাহ সেলিম বলেন, “আমি ঘটনার সময় কাছাকাছি চাঁদপুর ক্লাবে ছিলাম। আমাকে বৈষম্যবিরোধী ও বিএনপির পক্ষ থেকে ফোন করা হয়। তখন আমি দৌড়ে গিয়ে দেখি চরম উত্তেজনা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরে সবাইকে আওয়ামী লীগ অফিস ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলে সবাই চলে যায়। আমি সেখানে সময়মতো না গেলে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হতো।”
চাঁদপুর সদর থানার ওসি বাহার মিয়া জানান, এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ বা মামলা দায়ের করেনি।