মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিএনপি নেতা বহিষ্কার
- নেত্রকোণা প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৭:৩২ পিএম, ০৯ আগস্ট ২০২৫

নেত্রকোনার বারহাট্টায় মসজিদের অর্থ আত্মসাতসহ একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় এক বিএনপি নেতাকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন মো. নুরুল ইসলাম টিপন মিয়া (৫০), যিনি সিংধা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
শনিবার, ৯ আগস্ট, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিক আহমেদ কমল সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগের দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মোস্তাক আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আশিক আহমেদ কমল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘন এবং নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে” টিপন মিয়াকে দলীয় প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বিএনপির একাধিক সূত্র দাবি করেছে, টিপন মিয়া মাঝপাড়া জামে মসজিদের সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালে দান ও অনুদানের অর্থ আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া, তার ছোট ভাইয়ের ১৪০ শতক জমি জবরদখল করে চাঁদা দাবি করার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে, তিনি গ্রামে নির্মাণাধীন সড়ক থেকে ইটের খোয়া লুট এবং নদী লিজ থেকে প্রাপ্ত আয়ের অর্থ আত্মসাত করেন বলেও দাবি করেন এলাকাবাসী।
এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও দলের ভুক্তভোগীরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। পরে দলীয়ভাবে টিপন মিয়াকে শোকজ করা হয়। তবে তার জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।
টিপন মিয়ার ছোট ভাই মো. রুকন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, “আমার ১৪০ শতাংশ জমি জোর করে দখল করে রেখেছেন টিপন। তার কারণে জমিতে চাষাবাদ করতে পারছি না। তাকে চাঁদা না দিলে জমি ছাড়বে না। তার কারণে এলাকার মানুষ অশান্তিতে রয়েছে। এদিকে মসজিদের টাকা আত্মসাৎ, সড়কের ইটের খোয়া লুট, চাঁদাবাজিসহ এমন কোনো কাজ নেই তিনি করছেন না। এমনকি মসজিদের উন্নয়ন কাজেও বিরাট অনিয়ম করেছেন তিনি।”
অন্যদিকে, নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে টিপন মিয়া বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ করতেই প্রতিপক্ষের লোকজন এসব ছড়াচ্ছে।”
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিক আহমেদ কমল বলেন, “বিএনপি অপকর্মে জড়িতদের প্রশ্রয় দেয় না। দলের সুনাম নষ্ট হয় এমন কাজ করলে কোনো ছাড় নয়।”