ইসলামের শত্রুদের দেশে রাজনীতির অধিকার নেই: মামুনুল হক


ইসলামের শত্রুদের দেশে রাজনীতির অধিকার নেই: মামুনুল হক

ইসলাম ও স্বাধীনতার বিরোধীদের এদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, যারা ইসলামের বিপক্ষে অবস্থান নেয়, তারাই মূলত দেশের স্বাধীনতার শত্রু।

শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে চাঁদপুরের কচুয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপজেলা শাখার আয়োজনে এক জনসভায় এ কথা বলেন তিনি। বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার পথ হিসেবে খেলাফতভিত্তিক রাজনৈতিক ব্যবস্থাকেই একমাত্র সমাধান হিসেবে তুলে ধরেন তিনি।

মামুনুল হক বলেন, "কোনো তন্ত্র-মন্ত্র দিয়ে সংঘাত নয়, আল্লাহ প্রদত্ত রাজনৈতিক বন্দোবস্ত খেলাফতের ব্যবস্থা ছাড়া বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার সম্ভব নয়।"

'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন', 'শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচার', 'খেলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে গণজোয়ার সৃষ্টি' এবং 'সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি'—এই চারটি উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হয় এই জনসভা।

তিনি আরও বলেন, “আগামীর বাংলাদেশ হবে খেলাফতের বাংলাদেশ। স্বাধীনতা এনেছি রক্ত দিয়ে, প্রয়োজনে আবার জীবন দিয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করবো।”

আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনায় মামুনুল হক বলেন, গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামকে রাষ্ট্র ও রাজনীতি থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেই রাজনীতিতে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তার ভাষায়, “আগামী দিনে যারা ইসলামকে উৎখাত করতে চাইবে, তারাই মাইনাস হবে।”

সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী মুফতি আনিছুর রহমান কাসেমী।

জনসভায় সভাপতিত্ব করেন কচুয়া উপজেলা সভাপতি মুফতি নুরুল ইসলাম মাদানী এবং সঞ্চালনা করেন কচুয়া পৌর শাখার সভাপতি মুফতি রিয়াসুল হক মজুমদার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফয়সাল আহমাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি নেয়ামতউল্লাহ আমিন, চাঁদপুর জেলা সভাপতি মাওলানা লিয়াকত হুসাইন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাবিবুর রহমান, কুমিল্লা জেলা পশ্চিমের সভাপতি মাওলানা আবু ইউসুফ মুন্সি এবং কচুয়া মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা আবু হানিফ।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×