লালমনিরহাটের পাটগ্রামে

থানা ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় বিএনপির আরও ২ নেতা আটক


থানা ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় বিএনপির আরও ২ নেতা আটক

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা ও সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। সোমবার (৭ জুলাই) রাতে পাটগ্রাম পৌর এলাকা ও দহগ্রাম ইউনিয়নে পৃথক অভিযান চালিয়ে আরও দুই বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পাটগ্রাম উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রাবিউল ইসলাম (৪৫) এবং দহগ্রাম ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি মতিয়ার রহমান (৩৮)। পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা থানায় দায়ের করা দুই মামলায় এ নিয়ে গত পাঁচ দিনে মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে, ২ জুলাই রাতে পাটগ্রাম থানায় একটি সহিংস হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি নেতাকর্মীরা থানায় হামলা চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। হামলাকারীরা থানার আসবাবপত্র, কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ভাঙচুর ও তছনছ করে। ইট-পাটকেল ছুড়ে জানালার কাঁচ ও দরজাও ভেঙে ফেলা হয়। পুলিশের বাধা দিলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

পুলিশ জানায়, পাটগ্রাম থানায় হামলার সময় পাশের হাতীবান্ধা থানা অবরোধের অভিযোগেও মামলা হয়েছে। লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, দুটি পৃথক মামলায় তদন্ত চলছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত করা হচ্ছে।

এদিকে, শুক্রবার পাটগ্রাম উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা হাসান রাজীব প্রধান দাবি করেন, একটি পাথর ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মীকে পুলিশ অন্যায়ভাবে লাঞ্ছিত করায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তবে তিনি দাবি করেন, বিএনপি কোনো ধরনের হামলা বা সহিংসতায় জড়িত নয়।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×