বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে ধর্ষণ বাড়ছে : নাহিদ ইসলাম


MARCH NAEEM 2ND/nahid-potuakahli-.jpg

বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই দেশে ধর্ষণের মতো ভয়াবহ অপরাধ বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। 

তিনি বলেন, যদি দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা যায়, তাহলে এই ধরনের অপরাধ অনেকাংশে কমে আসবে।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদ জসিম উদ্দিনের কন্যা ও তার পরিবারের খোঁজ নিতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 

নাহিদ ইসলাম বলেন, শহিদ পরিবারের সদস্য হিসেবে নয়, বরং বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবেই আমি ধর্ষণের সুষ্ঠু বিচার চাই। প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দ্রুত বিচার হওয়া দরকার। আমরা ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে আছি এবং প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সরকার আইন পরিবর্তনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা দ্রুত বাস্তবায়নেরও দাবি জানাচ্ছি।

শহিদ পরিবারগুলোর নিরাপত্তা প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, সারাদেশে শহিদ পরিবারের সদস্যরা রাজনৈতিক ও সামাজিক অনিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন। এটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সকল নাগরিকদের পাশাপাশি শহিদ পরিবারগুলোকেও সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া উচিত সরকারের। 

নাহিদ ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় দুজন আসামির মধ্যে একজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এখনো একজন পলাতক রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে হবে। অন্যথায় জাতীয় নাগরিক পার্টি রাস্তায় অবস্থান নেবে।

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব মুজাহিদুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব জাহিদ আহসান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহিদ বাবার কবর জিয়ারত করে নানা বাড়িতে ফেরার পথে শহিদের ১৭ বছর বয়সী মেয়েকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। 

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×