সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু

‘মার্ডার করা লাগলেও আজকে মিটিং হবেই’


15Feb Naeem/serpur-dw.jpg

শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের হরিণধরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভা ঘিরে দুপক্ষের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। কমিটি গঠনে বিরোধিতা ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রধান শিক্ষকের ডাকা এক সভায় এডহক কমিটির সভাপতির নির্দেশে এই সংঘর্ষ হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এতে জমি দাতা পরিবারের অভিভাবক সদস্য মো. হারেজ আলী (৪০) নিহত হন। পুলিশের তথ্যে জানা গেছে, এই ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষকসহ স্থানীয় কয়েকজন মো. শফিকুল ইসলাম মুক্তাকে এডহক কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করে। তবে জমিদাতা পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার মাধ্যমে এডহক কমিটিতে আদালতের স্থগিতাদেশ আনে। সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বাবুল আজকের সভা ডাকার নির্দেশ দেন। বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে সভা আহ্বান করার পর এডহক কমিটির সভাপতি মুক্তা কড়া ভাষায় ঘোষণা দেন, ‘মার্ডার করা লাগলেও আজকে মিটিং হবেই’– এ কথার প্রেক্ষিতে উগ্র মেজাজে আলোচনার পরিবেশ উত্তপ্ত হয়। এ সময় সভায় উপস্থিত অভিভাবক সদস্যদের মধ্যে বেআইনি সভার প্রতিবাদ থেকে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।

একপর্যায়ে সভাপতি মুক্তার পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লাঠিসোঁটা, ফালা, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। সংঘর্ষের মধ্যে মো. হারেজ আলীর পিঠে ধারালো ফালার আঘাত করে হামলাকারীরা।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত শেরপুর ক্যাম্পের সেনাবাহিনী ও সদর থানার কর্মকর্তারা তৎক্ষণাৎ অভিযান পরিচালনা করেন। আহত প্রায় ৩০ জনের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় হারেজ আলীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করা হয়। 

শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল করিম ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং পুলিশের তরফ থেকে এই মামলায় পাঁচজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় নেয়া হয়েছে।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবারের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক নানা অনিয়ম ঢাকতেই মুক্তাকে সভাপতি বানানো হয়েছে। এ ঘটনায় ভবিষ্যতে এ ধরনের অসামাজিক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×