
দেশে গত ৩৬ ঘণ্টায় টানা তৃতীয়বারের মতো ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে আঘাত হানা ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত নিচে নামতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনই শিক্ষার্থী।
সন্ধ্যার ভূমিকম্পের সময় শামসুন্নাহার হলের তিন শিক্ষার্থী, কুয়েত মৈত্রী হলের একজন, বেগম রোকেয়া হলের একজন এবং মাস্টারদা সূর্যসেন হলের একজন আহত হন। শামসুন্নাহার হল সংসদের সাহিত্য সম্পাদক ইসরাত জাহান সুমনা সিঁড়ি থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাঁর পা ভেঙে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শামসুন্নাহার হলের অন্য দুই শিক্ষার্থী এবং কুয়েত মৈত্রী হলের একজন ছাত্রীরও আঘাতের কারণে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বেগম রোকেয়া হলের এক শিক্ষার্থী আতঙ্কে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
অন্যদিকে, মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ছাত্র মামুনুর রশিদ সিঁড়িতে ধাক্কাধাক্কির সময় হাতে আঘাত পান।
এর মাত্র ৭ ঘণ্টা আগে আরও একটি হালকা ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সন্ধ্যার কম্পনটির কেন্দ্র ছিল রাজধানী থেকে মাত্র ৩ মাইল দূরে, যার মাত্রা ছিল ৪.৩। সকালে নরসিংদীতে ৩.৩ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্পও রেকর্ড করা হয়।
এরও আগে, শুক্রবার ৫.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়। ওইদিন ঢাবির হাজী মুহাম্মদ মহসিন হলের চারতলা ভবন থেকে আতঙ্কে লাফ দিয়ে তিন শিক্ষার্থী আহত হন। একই ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের এক ছাত্রের পা ভেঙে যায়। সারা দেশে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু ও ছয় শতাধিক মানুষের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। রাজধানীর কয়েকটি ভবনে ফাটল ও হেলে পড়ার ঘটনাও শনাক্ত হয়েছে।