ববির ছাত্র ইমনের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে হেনস্তা ও উত্যক্তের অভিযোগ
- ববি প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৩:৩২ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২৫

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) কয়েকজন নারী শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন—উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইমন তাদের বর্ণনা অজুহাতে বারবার অশালীন বার্তা ও অনাকাঙ্ক্ষিত ফোন দিয়ে বিরক্ত করতেন। অভিযুক্ত ইমন মূলত ১১তম ব্যাচে অধ্যয়ন করেন; পরে পুনরায় ১২তম ব্যাচে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার সূত্রে পাওয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক স্ট্যাটাসে ইমনের পাঠানো কিছু ম্যাসেজের স্ক্রিনশট শেয়ার হয়েছে। ওই স্ক্রিনশট এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বর্ণনা থেকে দেখা যায়, ইমন বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের ব্যক্তিগত ও অশালীন বার্তা পাঠিয়ে ছাত্রীরা মানসিক চাপের সম্মুখীন হন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত হওয়া সম্পর্কিত অভিযোগ একাধিক শিক্ষার্থী করেছেন।
একজন ভুক্তভোগী জানান, “আমি কিছুদিন আগে লঞ্চঘাট থেকে রূপাতলি আসার পথে দুইজন ছেলে আমার সাথে অটো তে উঠেছিলো এবং আসার পথে তারা আমাকে বিরক্ত করার ট্রাই করে রেসপন্স না করার পরও কথা বলতে চাওয়া গা ঘেঁষে বসে থাকা এসব কাজে আমি খুবই বিব্রত হই তবে তখন বুঝতে পারিনি যে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের। তার কিছুদিন পর ওই ছেলের সাথে আমার ক্যাম্পাসে দেখা হলে আমি চিনে ফেলি তবে একটু কনফিউজড থাকায় তাকে জিজ্ঞেস করা হলে সে বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে এবং ওখানেও খুবই নোংরা ব্যবহার করে। এই ঘটনার পর আমি আমার কিছু ফ্রেন্ডের সাথে এটা শেয়ার করলে তখন আমার দুই তিনজন ফ্রেন্ড জানায় ওরা তখন রুপাতলি আমাকে দেখেছে আর ওরা যেহেতু এই ছেলেকে আগে থেকে চিনে তো ওরাই ওর নাম আমাকে জানায় যে সাথে বোটানি বিভাগের ইমন ছিলো। এরপর আমি ওর সম্পর্কে যাদেরকেই জিজ্ঞেস করি সবাই ওর চরিত্র সম্পর্কে যে বর্ণনা দিয়েছে তাতে আমার মনে হলো যে ওর সাথে পার্সোনালি বিষয়টি হ্যান্ডেল করতে গেলে ওর নোংরা কথা আমার সম্মানহানি করবে।”
অন্য এক ভুক্তভোগী বলেন, “এই ছেলে আমাকে প্রথমে নক করে কথা বলার চেষ্টা করে, আমি ইগনোর করার চেষ্টা করলে আমাকে বলে সে আমাকে অনেক পছন্দ করে। আমি মানা করে দিলেও সে নানা ভাবে আমাকে নক করতো, আমি রিপ্লাই করা বন্ধ করে দেই এবং আইডি রেস্ট্রিক্টেড করে দেয়। এরপর আমার আর কোন সমস্যা হয়নি কিন্তু এখন দেখছি শুধু আমাকে না এরকম অনেকেই সে নক করে ডিস্টার্ব করে। এটা একধরনের ভায়োলেশন। আমি চায় এই ছেলে তার কর্মের উপযুক্ত শাস্তি পাক।”
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কথা জানিয়েছিলেন এবং কিছু কিছু শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগও করেন।
অভিযুক্ত ইমনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি সফল হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রহাত হোসেন ফয়সাল বলেন, “আমরা ভুক্তভোগীর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।”