জাবির হল থেকে ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার


News Defalt/ju-20241215134909.jpg

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) হল থেকে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে তার কক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকিয়ার গ্রামের বাড়ি মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালীতে। তার বাবার নাম আরিফ হোসেন। তিনি ছিলেন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম তাকিয়া তাসনিম বিভা (১৯)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলের ৭০০৫ নম্বর কক্ষে থাকতেন। ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৫৩তম ব্যাচের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। 

প্রত্যক্ষদর্শী হলের শিক্ষার্থী শিউলি আক্তার বলেন, ভোর ৪টা ৪৬ মিনিটে একটি অজানা নম্বর থেকে তার ফোনে কল আসে। অপর প্রান্ত থেকে এক যুবক তাকে বলেন,‘আপনি কি তাকিয়ার পাশের রুমের?’ আমি বলি, আমার থেকে একটু দূরে ওর রুম।সে বলে ‘তাকিয়া সুইসাইড করতে পারে, দ্রুত তার রুমে যান।’

এরপর শিউলি দৌড়ে গিয়ে দরজা ধাক্কা দেন এবং অন্য শিক্ষার্থীদের সহায়তায় দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে তাকিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাকে ফ্যান থেকে নামিয়ে খাটে শুইয়ে দেওয়া হয়।

আরেক শিক্ষার্থী উম্মে মারিয়াম বলেন, আমরা ভোর ৫টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি, তাকিয়া ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে ছিল। আমরা একটি বটি দিয়ে ওড়না কেটে তাকে নামাই। তখন তার শরীর কিছুটা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল।

তাৎক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসককে হলে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

তাকিয়ার স্থানীয় অভিভাবক ও মামা মনির হোসেন বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হল থেকে আমাকে ফোন করে জানানো হয় তাকিয়া আত্মহত্যা করেছে। আমি সাভার থেকে ঘটনাস্থলে এসে দেখি তাকে ফ্যান থেকে নামিয়ে খাটে শুইয়ে রাখা হয়েছে। আমি এরপর তার বাবা-মাকে ফোন করে ঘটনা জানাই।

পুলিশের ডিউটি অফিসার মাসুদ জানান,আমরা প্রাথমিকভাবে নিহত শিক্ষার্থীর তথ্য সংগ্রহ করেছি। তার রুম থেকে একটি ডায়েরি, ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পরিবার ও হল কর্তৃপক্ষের অনুমতির অপেক্ষা করা হচ্ছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×