
হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের বহিষ্কৃত সচিব শহিদুল ইসলামের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (১৭ মে ২০২৫) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তার জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে ১৫ মে খিলগাঁও থানা পুলিশ শহিদুলকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৪৭, ৪০৬, ৪২০ ও ৫০৬ ধারায় মামলা করা হয়েছিল। মামলায় অভিযোগ রয়েছে, তিনি হোমল্যান্ড লাইফে দুর্নীতি ও প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
তদন্তে উঠে এসেছে, কোম্পানির বর্তমান চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একদল বহিষ্কৃত কর্মকর্তা ও একটি অসাধু চক্র মিলে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম চালিয়ে আসছে। অভিযোগ রয়েছে, জামাল উদ্দিন অবৈধভাবে কোম্পানির দখল নিয়ে বহিষ্কৃত ও বিতর্কিত কর্মকর্তাদের পুনঃনিয়োগ দিয়েছেন। এর মধ্যে শহিদুল ইসলামকেও সচিব হিসেবে পুনঃনিয়োগ দেয়া হয়।
মামলার বাদীপক্ষ দাবি করেছে, যাদের বহিষ্কৃত বলা হচ্ছে, তারাই এখনো কোম্পানির বেতনভুক্ত কর্মকর্তা এবং কোম্পানির ওয়েবসাইটে তাদের তথ্য রয়েছে। এ ছাড়া সচিব হিসেবে অন্য একজনের নামও সেখানে তালিকাভুক্ত রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, চেয়ারম্যান আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বোর্ড সভা ডেকেছেন, কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়েছেন এবং গ্রাহকদের ১০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে নারী সহকর্মীদের হেনস্তার অভিযোগও উঠেছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, শহিদুল ইসলাম আগে আইডিআরএ (বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ)-তে চাকরি করতেন এবং এখন সেই সংস্থার কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে ‘ম্যানেজ’ করে কোম্পানির এফডিআরের অর্থ লুটপাটের পরিকল্পনা করছেন।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, শহিদুল ইসলামকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই দুর্নীতিচক্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। তারা দাবি করছেন, হোমল্যান্ডের দুর্দশা থেকে উত্তরণ এবং বীমা খাতে সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে