
চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার সিঙ্গাপুরভিত্তিক সরবরাহকারীর মাধ্যমে ভারত থেকে নন-বাসমতি চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
চালের মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “চালের দাম কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে, আবার কিছুটা বাড়ছে। অতএব কোনোক্রমে যেন না বাড়ে চালের দাম, সেজন্য আমরা নন-বাসমতি চাল আবার আনব।”
চাল কোন দেশ থেকে আসবে- এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা জানান, নন-বাসমতি চাল ভারত থেকেই আসবে। নন-বাসমতি চালটা ভারত থেকে আসবে। এটা (মূল্য) তো প্রতিযোগিতামূলক। সরবরাহকারী কিন্তু সিঙ্গাপুরের। কারণ আমরা তো আর বলব না যে ভারত থেকে আনবেন না, থাইল্যান্ড থেকে আনবেন না, মিয়ানমার থেকে আনবেন না। আমরা মান, সময়মতো সরবরাহ আর দামটা দেখেছি।
তিনি বলেন, সরকার ডিসেম্বরের মধ্যেই সংশোধিত বাজেট চূড়ান্ত করতে চায়।
গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজনের ফলে বাড়তি ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থ উপদেষ্টা জানান, “আমরা তো বলেছি নির্বাচনের জন্য, গণভোটের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় বাড়বে। সেখানেও তো আপনার লোকবল লাগবে, তাই না? সিকিউরিটি লাগবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের বাজেট নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে চাওয়া হলেও নির্বাচনের ব্যয় বরাদ্দ এখনো উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। জানুয়ারিতে আমরা রেডি করে রাখব পরবর্তী যে সরকার আসছে তাদের জন্য। নির্বাচনের বাজেটে সবগুলো ওপেন আছে।
তাঁর মতে, তফসিল ঘোষণার পর নতুন কোনো ব্যয় যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম, তবে জরুরি বা কনটিনজেন্সি খরচ থাকতে পারে।
একদিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনকে তিনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে স্বীকার করলেও একই দিনের পক্ষে মত দিয়ে বলেন, “এইটা আমার মনে হয় চ্যালেঞ্জ হলেও এই চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করতে হবে, কারণ দুই দিন করা মানে এত এনটায়ার জিনিস, রিটার্নিং অফিসার মোবিলাইজ করা- এগুলো কঠিন।
তিনি আরও জানান, অনেক দেশেই একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। লজিস্টিক্যালি আমার মনে হয় একবারে করা বেটার এবং এটা সহজেই সুষ্ঠুভাবে করা যেতে পারে।
বৈঠকে সার, পরিশোধিত তেল কেনা এবং তিনটি সড়ক নির্মাণের সিদ্ধান্তও অনুমোদন করা হয়।