
দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক আজিজুর রহমান রিজভীকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) দলটির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রিজভীর বিরুদ্ধে গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে এবং তার আচরণ সংগঠনের নীতির পরিপন্থী হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ফলে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নির্দেশে তাকে দলের সব ধরনের দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, সে বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে এনসিপির শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল-আমিনের কাছে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আজিজুর রহমান রিজভী বলেন, “সম্প্রতি আলোচিত বিষয়গুলো নিয়ে আমি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিস্তারিত জানিয়েছি। এখন সংগঠন থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সব তথ্য সংগঠনকে জানাব।”
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজিজুর রহমান রিজভী ও ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহাজাহান সাজুর কারামুক্তি প্রসঙ্গে মোহাম্মদ মমিন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ভাইরাল হয়। ওই অডিওতে রিজভীকে শাহাজাহান সাজুকে সাতটি মামলায় জড়ানোর কথা বলতে শোনা যায়। কথোপকথনের একপর্যায়ে তিনি বলেন, “ও চাইলে আমাকে এক কোটি টাকা, দুই কোটিও দিতে পারে, তাহলে ৩০ লাখ টাকার গল্প কেন ছড়ায়?”
কল রেকর্ডটি প্রকাশের পর স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।