
ঢাকার আদালত এলাকায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের প্লট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। প্রধান ফটকসহ প্রাঙ্গণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। প্রিজনভ্যান ও সাঁজোয়া যান প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তিকে প্রবেশের আগে তল্লাশির আওতায় আনা হচ্ছে।
লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মল্লিক আহসান সামী বলেন, "আমাদের পরিপূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে, যাতে রায় ঘিরে কোনো নাশকতা হতে না পারে। আদালত প্রাঙ্গণ ও চারপাশে প্রচুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে।"
মামলার বিষয়টি হলো, ঢাকার পূর্বাচলে নতুন শহর প্রকল্পে তিনটি ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত দুর্নীতি। এ রায় পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বৃহস্পতিবার ঘোষণা করবেন। এই মামলায় শেখ পরিবারের তিনজনকে ছাড়াও মোট ২০ জন আসামি রয়েছে। গ্রেপ্তার রয়েছেন কেবল একজন; রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি কারাগারে থাকলেও রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির থাকবেন।
শেখ পরিবারের তিনজনের সঙ্গে মামলায় আসামি রয়েছেন সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার ও কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর প্রকৌশলী ও সাবেক সদস্য (উন্নয়ন) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) শফি উল হক, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, রাজউকের উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান ও নায়েব আলী শরীফ, সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) কামরুল ইসলাম এবং সহকারী পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) মাজহারুল ইসলাম।
মামলার রায় ঘোষণার মাধ্যমে ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগ আমলের দুর্নীতি ও অনিয়ম সংক্রান্ত প্রথম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।