.webp)
প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতি নিয়ে যারা জোর দিচ্ছেন, তারা আসলে নির্বাচনের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তার ভাষায়, যারা নির্বাচনে ভয় পায়, তারাই পিআর পদ্ধতি চায়।
শনিবার চুয়াডাঙ্গার নিজ বাসভবনে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দুদু বলেন, অনেক ইসলামী দল আছে যাদের প্রার্থীরা কখনো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেননি। এর মধ্যে অন্যতম ইসলামী আন্দোলন। আওয়ামী লীগের সময় তারা সব নির্বাচনে অংশ নিয়েছে এবং দলটিকে একসময় ‘পেয়ারের সংগঠন’ হিসেবেই ভাবত। কিন্তু বরিশালের সাম্প্রতিক নির্বাচনে রক্তক্ষয়ী ঘটনার পর তারা আওয়ামী লীগের বিরোধিতায় নেমেছে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, যদি পিআর পদ্ধতি সত্যিই জনপ্রিয় হয়, তাহলে এর সমর্থকরা বিষয়টি নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহারে তুলে ধরে ভোটে জয়লাভের পর সংসদে সিদ্ধান্ত নিক। কারণ, এই পদ্ধতি চালুর জন্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, যেসব দেশে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়, সেখানে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বেশি দেখা যায় নেপাল যার বড় উদাহরণ। কোনো দেশের টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার জন্য স্থিতিশীল সরকার অপরিহার্য, যা পিআর পদ্ধতিতে নিশ্চয়তা পাওয়া কঠিন।
আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে দুদু বলেন, বর্তমানে দেশে কোনো সরকারি দল নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও যদি কোনো দল নিজ উদ্যোগে অংশ নিতে না পারে, তা হবে তাদের ব্যর্থতা। তার মতে, বিভিন্ন দলের ন্যায্য দাবি থাকতেই পারে, কিন্তু সেগুলো নির্বাচনী কর্মসূচিতে তুলে ধরে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়াই সঠিক পথ। জনপ্রিয় হলে জনগণ ভোট দেবে, কিন্তু নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠায় অন্যের কাঁধে ভর দিয়ে সুবিধা নেওয়া ঠিক নয়।
এ সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ওয়াহেদুজ্জামান বুলাসহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।