
গাজার দিকে যাত্রা করা নৌযান ‘কনশানস’-এর উদ্দেশ্য শুধুমাত্র মানবিক সহায়তা নয়, বরং আন্তর্জাতিক জনমতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গাজার ওপর দীর্ঘদিনের অবরোধ তুলে নেওয়ার দাবি জোরালো করা। এ তথ্য জানিয়েছেন খ্যাতনামা আলোকচিত্রী ও দৃক গ্যালারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম, যিনি বর্তমানে ওই নৌযানে অবস্থান করছেন।
শনিবার দুপুরে নিজের ফেসবুক পোস্টে শহিদুল আলম জানান, ‘কনশানস’ হলো ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ (এফএফসি) ও ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা’ (টিএমটিজি) নামে দুটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগের অংশ। নৌবহরে খাদ্য বা চিকিৎসা সামগ্রী না থাকলেও, তাদের মূল লক্ষ্য গাজার মানবিক সংকট ও অবরোধ নিয়ে বিশ্ববাসীর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা।
শহিদুল আলম বলেন, “কনশানস ছিল বহরের সবচেয়ে বড় নৌযান। এটি ৩০ সেপ্টেম্বর ইতালি থেকে রওনা দিয়েছিল; গতি বেশি হওয়ায় আগে রওনা দেওয়া আটটি নৌযানকে স্পর্শ করেছে। পরে গতি কমিয়ে সব নৌযান একসঙ্গে গাজা অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে।”
তিনি আরও লেখেন, “হাজারও জাহাজের ধারণা প্রতীকী হলেও এটি মানুষের সংগ্রামের প্রতিফলন। যদি আমাদের আটকায়, অন্যরা এগিয়ে আসবে। জনগণের শক্তি শেষ হয় না।”
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের তথ্যমতে, কনশানস নৌযানে অন্তত ২৫ জন সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মী আছেন, যারা বিভিন্ন দেশ থেকে অংশ নিয়েছেন। তারা এই অভিযানে অংশ নিচ্ছেন গাজায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা এবং ইসরায়েলি অবরোধের বিরুদ্ধে বার্তা দিতে।
উল্লেখযোগ্য যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গাজার ভেতরে আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের প্রবেশে বড় বাধা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে বহু সাংবাদিক নিহত, আটক বা গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে একাধিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।