
শরীয়তপুরের জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম এবং সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিথুন ঢালী। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, শুক্রবার ৩ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিথুন ঢালী একটি বিদেশি নম্বর থেকে ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে মিথুন ঢালী শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেন। পরদিন, ২৯ সেপ্টেম্বর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও মিছিলের আড়ালে এলাকায় শোডাউনও হয়।
এ সময় পুলিশের কাছে খবর আসে যে, অভিযুক্তরা কুন্ডেরচর ইউনিয়নের ফিরোজ খাঁর বাড়িতে অবস্থান করছেন। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আশিক মাহমুদের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মাইক ব্যবহার করে পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা করলেও পুলিশ কৌশলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই ঘটনার পর ২ অক্টোবর জাজিরা থানায় রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় মিথুন ঢালীকে দ্বিতীয় নম্বর আসামি করা হয়। মোট ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
এরই মধ্যে, অভিযোগ উঠেছে যে মিথুন ঢালী বিদেশি নম্বর থেকে ফোন করে ওসি মাইনুল ইসলাম ও ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে হত্যার হুমকি দেন। একই সঙ্গে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে আওয়ামী লীগ কর্মীদের উত্তেজিত করার চেষ্টা চলছে বলে দাবি পুলিশের।
এ বিষয়ে মিথুন ঢালীর প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
ওসি মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম বলেন, “মিথুন ঢালী কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকায় গোপন বৈঠক করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। তিনি বিদেশি নম্বর থেকে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকেও হত্যার হুমকি দিয়েছেন। বিষয়টি আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি এবং তাদের নির্দেশে থানায় একটি জিডি করেছি।”