৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে শাহবাগ মোড়ে এখনো অবস্থান ধরে রেখেছেন আন্দোলনকারী পরীক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রচুর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যও সেখানে মোতায়েন রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে জাস্টিস ফর ৪৭তম বিসিএস ব্যানারে থাকা পরীক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। এরপর আন্দোলনকারীরা সরে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ এলাকায় অবস্থান নেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র জানায়, লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি পেছানোর দাবিতে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। একই দাবিতে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় পদযাত্রার ঘোষণা দেন। বিকেলে পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়।
সাড়ে ৩টার দিকে পরীক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল আলোচনার জন্য সচিবালয়ে গেলেও কোনো সমঝোতা ছাড়াই সন্ধ্যা ৪টা ৪০ মিনিটে ফিরে আসে। এরপর তারা টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানায়। কিছুক্ষণ পর ব্যারিকেড ভাঙতে গেলে পুলিশ জলকামান চালায়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ পাল্টা ধাওয়া দিয়ে দুটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আন্দোলনরত পরীক্ষার্থীদের দাবি, আগের বিসিএসগুলোতে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ছয় মাস থেকে এক বছর সময় দেওয়া হতো, কিন্তু এবার দুই মাসেরও কম সময় পাওয়া গেছে। তাদের ভাষায়, “এ সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। ৪৭তম বিসিএসের পরীক্ষার তারিখ অবশ্যই পেছাতে হবে।”
তবে বিক্ষোভের মধ্যেও অবস্থান বদলাচ্ছে না সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। কমিশন জানিয়েছে, পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ২৭ নভেম্বরই শুরু হবে। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ- এই আটটি কেন্দ্রে। পদ-সংশ্লিষ্ট কিছু পরীক্ষার আয়োজন থাকবে শুধুমাত্র ঢাকায়।