
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, নির্বাচনকে ঘিরে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। “আমরা এখন আমাদের গোয়েন্দা টিমসহ ইন্টেলিজেন্সের কাজ করছি। এখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। নির্বাচনের আগের দিন থেকে আমাদের পুরো প্রভাব থাকবে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়টা বড়, তাই সেন্ট্রাল এলাকায় একটি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে, পরে বাইরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে,” বলেন তিনি।
আরএমপি কমিশনার আরও জানান, প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন-পূর্ব, চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে কোথায় কতটুকু নিরাপত্তা লাগবে তা নির্ধারণ করা হবে। “সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ২ হাজার সদস্য মাঠে থাকবে। যেহেতু এটি বড় বিশ্ববিদ্যালয়, এখানে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে। পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য এজেন্সিও দায়িত্ব পালন করবে,” যোগ করেন তিনি।
রাকসু নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এফ নজরুল ইসলাম জানান, এবার ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০৫। এর মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ এবং পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। বিপুল ভোটারের জন্য ৯টি একাডেমিক ভবনে মোট ১৭টি কেন্দ্র ও ৯৯০টি বুথ রাখা হয়েছে। “আমরা আশা করছি, এই ব্যবস্থায় ভোটারদের দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না,” বলেন তিনি।
ভোটগ্রহণ চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোট শেষে সব ব্যালট বাক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আনা হবে এবং সেখানেই গণনা শুরু হবে। পুরো গণনা প্রক্রিয়া সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বলেও তিনি জানান।
এবার রাকসু ও সিনেট নির্বাচনে মোট প্রার্থী রয়েছেন ৩০৬ জন। হল সংসদে প্রার্থী ৬০০ জন। এর বাইরে ৪২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
সংশোধিত তফসিল অনুযায়ী, একই দিন ভোট গ্রহণ শেষে গণনা সম্পন্ন করে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।