
যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় চায়ের দোকানে ঢুকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আশরাফুল ইসলাম (৪০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আরেকজন গুরুতর আহত হন। শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজগঞ্জ বাজারে এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।
নিহত আশরাফুল ইসলাম উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে। তিনি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পাশাপাশি সীমান্ত পরিবহন নামে একটি বাস কাউন্টারে চাকরি করতেন।
আহত তারেক গাজী (৩০) একই গ্রামের বাসিন্দা আবদুল বারিক গাজীর ছেলে। বর্তমানে তিনি যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টার দিকে আশরাফুল রাজগঞ্জ বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসে তারেক গাজীর সঙ্গে গল্প করছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলযোগে তিনজন দুর্বৃত্ত এসে দোকানে ঢুকে আকস্মিকভাবে আশরাফুলের ওপর হামলা চালায়। ধারালো ছুরির একাধিক আঘাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। আশরাফুলকে রক্ষার চেষ্টা করতে গিয়ে আহত হন তারেক গাজী। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আমজাদ হোসেন জানান, "পূর্ব শত্রুতার কারণেই আশরাফুলকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। এর আগেও কয়েক দফা তার ওপর হামলার চেষ্টা হয়েছিল।"
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন, "প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্বশত্রুতার জেরেই এ হত্যাকাণ্ড। আশরাফুল বুকে ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার সঙ্গী তারেক গাজীকেও আহত করা হয়। বর্তমানে তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।"
তিনি আরও জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।