
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টার সময় ককটেল বিস্ফোরণে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই ডাকাতকে গ্রামবাসী গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। পাশাপাশি, ডাকাত হামলায় দুই গ্রামবাসীও আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রামসংলগ্ন মেঘনা নদী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ৩টার দিকে একটি নৌ ডাকাত দল স্পিডবোটে চড়ে নদীতে নোঙর করা কয়েকটি বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা চালায়। জেলেদের উপস্থিতিতে তারা ব্যর্থ হয়ে চলে যায়। শনিবার সকালে আবার স্পিডবোট ও একটি ট্রলার নিয়ে সেই এলাকায় আসে ডাকাত দলটি।
স্থানীয়রা তাদের বাধা দিলে ডাকাতরা ছয় রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে এবং ২-৩টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এক ডাকাতের হাতে ককটেল বিস্ফোরিত হলে তার কব্জি উড়ে যায়।
পরিস্থিতি কঠিন দেখে স্পিডবোটে থাকা ৫-৬ জন ডাকাত পালিয়ে যায়। অন্যদিকে ত্রয়ীকে গ্রামবাসী চর কিশোরগঞ্জ থেকে আটক করে, গণধোলাইয়ের পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়।
হাসপাতালে নেওয়ার পর এক ডাকাতের মৃত্যু হয়, যিনি এখনও সনাক্ত হননি।
ডাকাতদের হামলায় ভাটি বলাকী গ্রামের আলম (৩৭) ও সোহাগ (১৬) আহত হয়েছেন।
কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সালেহ আহম্মেদ পাঠান জানিয়েছেন, ডাকাতরা ভোরে সোনারগাঁওয়ের আনন্দবাজার এলাকা থেকে জেলেদের ট্রলার ছিনতাই করে এই এলাকায় আসে। স্থানীয়দের বাধার মুখে তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ঘটনার স্থল থেকে দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, দুইজন রোগী হাসপাতালে আনা হয়েছে, একজনের হাতে ককটেল বিস্ফোরিত হয়ে তিনি মারা গেছেন, আরেকজন চিকিৎসাধীন।
নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, “এই ঘটনায় একজন নিহত এবং দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।”