
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে (৭২) রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিল ১এমডিবি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত আরও একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছেন কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এই রায় ঘোষণা করা হয়। এটি নাজিবের বিরুদ্ধে ১এমডিবি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ মামলা। প্রায় সাত বছর ধরে চলা বিচার প্রক্রিয়ায় নাজিব সহ মোট ৭৬ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলাটি দীর্ঘসূত্রতা এবং জটিলতার কারণে দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছিল।
নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটি এবং অর্থ পাচারের ২১টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। অভিযোগে বলা হয়, তিনি ১এমডিবি তহবিল থেকে প্রায় ২২০ কোটি মালয়েশীয় রিঙ্গিত (প্রায় ৫৩.৯ মিলিয়ন ডলার) অবৈধভাবে স্থানান্তর করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে, এক দশকেরও বেশি আগে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও ১এমডিবির উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে নাজিব তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিজের ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেছিলেন।
এর আগে ২০২০ সালে ১এমডিবির প্রায় ৯৯ লাখ ডলার আত্মসাতের দায়ে নাজিবকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ওই মামলায় তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ২০২২ সাল থেকে তার সাজার মেয়াদ শুরু হয় এবং পরবর্তীতে আদালতের আদেশে তা ছয় বছরে কমানো হয়।
এই রায়টি নাজিবের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ঘটনা। সরাসরি ১এমডিবি এবং বড় অঙ্কের অর্থ জড়িত থাকায় এটি তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মালয়েশিয়ার সম্মানসূচক গবেষণা সহযোগী ব্রিজেট ওয়েলশ বলেন, মামলাটি একাধিকবার বিলম্বিত হয়েছে এবং বিষয়টি খুব জটিল ছিল। কাতারভিত্তিক আল-জাজিরাকে তিনি বলেন, “এগুলো বহুস্তরবিশিষ্ট আর্থিক অপরাধ এবং পুরো বিচার প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ ও বিস্তৃত।”