
গাজায় নতুন শাসন কাঠামো শীঘ্রই কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন সিনেটর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি জানান, এই কাঠামোর মধ্যে থাকবে আন্তর্জাতিক বোর্ড এবং ফিলিস্তিনি প্রযুক্তিবিদদের একটি বিশেষ দল। রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি টেকসই করতে কাজ করে যাচ্ছে এবং এর অংশ হিসেবে বিদেশি সেনাও মোতায়েন করা হতে পারে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছর শেষের সংবাদ সম্মেলনে রুবিও উল্লেখ করেন, গাজার বর্তমান পরিস্থিতি টেকসই নয়। তিনি বলেন, “ইসরায়েল হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে, একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া গত অক্টোবরের শান্তিচুক্তির পর হামাস আবারও প্রভাব বৃদ্ধি করেছে।”
রুবিও আরও বলেন, “আমরা প্রথম ধাপ দ্রুত শেষ করার ব্যাপারে জরুরি অনুভব করছি। প্রথম ধাপ হলো ‘বোর্ড অব পিস’ প্রতিষ্ঠা এবং ভূমিতে কাজ করবে এমন ফিলিস্তিনি প্রযুক্তিগত কর্তৃপক্ষ গঠন। এরপর খুব দ্রুতই সেখানে স্থিতিশীলতা রক্ষায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন করা হবে।”
তিনি জানান, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ফিলিস্তিনি প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে প্রশাসনিক কাঠামো গঠনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে খুব দ্রুতই নতুন শাসন সংস্থা কার্যকর হবে, যদিও নির্দিষ্ট সময়সীমা এখনও জানানো হয়নি। রুবিওর এই মন্তব্য আসে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড আয়োজিত দোহা সম্মেলনের পর, যেখানে গাজায় আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নভেম্বরে অনুমোদনের পর খুব শিগগিরই গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন শুরু হতে পারে, সম্ভবত আগামী মাসে। তবে হামাসকে কীভাবে নিরস্ত্র করা হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। আইএসএফে সেনা পাঠানোর কথা ভাবা দেশগুলো উদ্বিগ্ন যে হামাস তাদের সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
রুবিও স্বীকার করেন, কোন পক্ষ হামাস নিরস্ত্রীকরণের দায়িত্ব নেবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তিনি বলেন, বাহিনী পাঠাতে আগ্রহী দেশগুলো আইএসএফের দায়িত্ব, ভূমিকা ও অর্থায়ন নিয়ে স্পষ্ট ধারণা চাইছে। রুবিও বলেন, গাজায় নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করে পুনর্গঠনের অর্থায়ন নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, যখন আবার যুদ্ধ শুরু হওয়ার ঝুঁকি থাকে, তখন কে বা কোন দেশ গাজার জন্য বিলিয়ন ডলার সাহায্য প্রতিশ্রুতি দেবে। তিনি বলেন, “দাতারা জানতে চান কে দায়িত্বে থাকবে এবং দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত থাকবে কি না।” রুবিও উল্লেখ করেন, আগ্রহ প্রকাশকারী দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানও রয়েছে।
সূত্র: আরব নিউজ