
রাশিয়া এবার ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলা এবং গুপ্তচর কার্যক্রম থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোকে রক্ষা করতে একগুচ্ছ কঠোর আইন পাস করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি ক্রেমলিনের জন্য যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার ইঙ্গিত বহন করছে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত সপ্তাহে স্বাক্ষরিত এক ডিক্রির মাধ্যমে রাশিয়ার জ্বালানি স্থাপনা প্রহরায় রিজার্ভ বাহিনী মোতায়েন, ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট এবং গুপ্তচরবৃত্তির জন্য সর্বোচ্চ সাজা বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছেন।
ইউক্রেনের বিমান হামলায় রাশিয়ার বহু তেল শোধনাগার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে দেশটিতে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী রিজার্ভ সদস্যদের দিয়ে তেল শোধনাগারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পাহারা দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এতে প্রায় ২০ লাখ রিজার্ভ সদস্য কাজে লাগানো যাবে।
এছাড়া, বিদেশ থেকে ফেরত রাশিয়ানদের সিম কার্ড ২৪ ঘণ্টার জন্য ব্লক রাখার নিয়ম চালু হয়েছে, যা ড্রোন হামলার সময় মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার রোধের উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি গুপ্তচরবৃত্তি এবং আত্মঘাতী হামলার ক্ষেত্রে সাজা কঠোর করা হয়েছে। নতুন আইনে ১৪ বছর বয়সী অপ্রাপ্তবয়স্কদেরও বিচারাধীন অপরাধের আওতায় আনা যাবে। এমনকি অপ্রাপ্তবয়স্করা যদি এ ধরনের কোনো অপরাধে যুক্ত থাকে, প্রমাণিত হলে আজীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার এই পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালের তুলনাতেও দীর্ঘস্থায়ী হতে যাচ্ছে। যদিও ক্রেমলিন যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় আগ্রহের কথা বলছে, বাস্তবে যুদ্ধ থামানোর কোনো ইচ্ছা পুতিন সরকারের নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।