
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ফের উত্তেজনা ছড়াল। জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে গিয়ে ভারতীয় ও পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়, যাতে প্রাণ হারান এক ভারতীয় সেনা সদস্য। বুধবার (১৩ আগস্ট) এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১২ আগস্ট) রাত গভীরে বেশ কয়েকজন অনুপ্রবেশকারী ভারতের ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করে। তবে এই ঘটনা সাধারণ অনুপ্রবেশের মতো ছিল না। সেনা সূত্র বলছে, অনুপ্রবেশকারীরা সরাসরি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গুলির সহায়তা পেয়েছিল, যা এই চেষ্টাকে আরও বিপজ্জনক করে তোলে।
ভারতের সেনারা পাল্টা জবাব দিলে শুরু হয় গুলির লড়াই। এতে এক ভারতীয় সেনা সদস্য গুরুতর আহত হন এবং পরবর্তীতে তার মৃত্যু হয়। ভারতীয় বাহিনী অনুপ্রবেশ ব্যর্থ করতে সক্ষম হলেও, প্রতিকূল আবহাওয়ার সুযোগ নিয়ে অনুপ্রবেশকারীরা সরে পড়ে। এখন পর্যন্ত ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ঘটনার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
এই সংঘর্ষ এমন এক সময়ে ঘটলো যখন পহেলগামের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়া এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’–এর রেশ এখনো তাজা। ওই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ভারত পাকিস্তানে বিমান হামলা চালায় এবং পাকিস্তানও ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাল্টা হামলা করে। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি হয়।
সম্প্রতি একটি বক্তৃতায় পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির ভারতকে পরমাণু হামলার হুমকি দেন। তিনি বলেন, "ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে অস্তিত্ব সংকটে পড়লে পাকিস্তান দুনিয়ার অর্ধেককে ধ্বংস করে দেবে।"
এই হুমকির জবাবে ভারত জানায়, পাকিস্তানের এ ধরনের পারমাণবিক হুমকি তাদের পুরোনো কৌশলের অংশ এবং এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে, একটি বন্ধুপ্রতিম তৃতীয় দেশের মাটি থেকে এমন বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।
ভারত সরকারের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "আন্তর্জাতিক মহল এ ধরনের মন্তব্যের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিজেই বিচার করতে পারবে, যা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত একটি দেশের পারমাণবিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে পুরনো সন্দেহকে আরও জোরদার করে।"