
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার আগামী জানুয়ারির শেষে চীন সফর করবেন। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) স্কাই নিউজ এ তথ্য জানায়। এটি গত সাত বছরের মধ্যে কোনো ব্রিটিশ নেতার চীনে প্রথম সফর হবে, খবর দিয়েছে রয়টার্স।
স্টারমারের লেবার সরকার বেইজিংয়ের সঙ্গে উন্নত সম্পর্ক স্থাপনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। কারণ, তারা অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও ব্রিটেনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চায়।
তবে উভয় দেশের মধ্যে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ ওঠার কারণে সম্পর্ক জটিলতা তৈরি হয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় জানিয়েছে, যে কোনো ভ্রমণ পরিকল্পনা স্বাভাবিক নিয়মে নির্ধারণ করা হবে। চীনা দূতাবাস বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের নিরাপত্তা সংস্থা MI5 এই সপ্তাহে এমপিদের সতর্ক করেছে যে চীনা এজেন্টরা “তথ্য সংগ্রহ এবং কার্যকলাপে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে।”
গত সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ প্রসিকিউটররা চীনের হয়ে এমপিদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত দুই ব্রিটিশ নাগরিকের মামলা বাতিল করে। আদালত জানায়, বেইজিং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টির প্রমাণ ব্রিটিশ সরকার প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
মামলাটি বাতিল হওয়ার পর বিরোধী রাজনীতিবিদরা অভিযোগ করেন, স্টারমার জাতীয় নিরাপত্তার চেয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে ভালো সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তবে সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ২০১৮ সালে চীন সফর করেছিলেন। পরবর্তী রক্ষণশীল সরকারগুলোর সময় মানবাধিকার, হংকং ইস্যু ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগের কারণে ব্রিটেন-চীনের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে।