
জুলাই সনদের বাধ্যবাধকতা বাস্তবায়নের কৌশল নির্ধারণে ফের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) জাতীয় সংসদের এলডি হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “ঐকমত্যের ভিত্তিতে রচিত এবং প্রত্যাশিত স্বাক্ষরিত সনদের বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা ও বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে তা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা দরকার।” তিনি আরও জানান, এ লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে কমিশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করবে।
তার ভাষায়, “আশা করা যায় যে, এই প্রক্রিয়ায় স্বল্প সময়ের মধ্যেই একটি উপযুক্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে।”
কমিশনের সহসভাপতি জানান, ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত দুটি দফার আলোচনায় জাতীয় সনদ প্রণয়নের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণসংখ্যক সংস্কার ও সুপারিশ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা তৈরি হয়েছে।
প্রথম দফার আলোচনায় উত্থাপিত ১৬৫টি প্রস্তাবের মধ্যে ৬২টি বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য অর্জিত হয়, যার কিছু ইতোমধ্যে সরকার বিভিন্ন অধ্যাদেশ, নীতিমালা ও নির্বাহী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করেছে। দ্বিতীয় দফায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ২০টি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক বিষয়। তার মধ্যে ১১টি বিষয়ে সর্বদলীয় সমর্থনের ভিত্তিতে ঐকমত্য গঠিত হয়। বাকি ৯টি বিষয়ে বেশিরভাগ দলের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যদিও কিছু রাজনৈতিক দলের ভিন্নমত সেখানে উল্লেখযোগ্য থাকবে।
তবে, প্রথম দফার সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর অনুকূল মনোভাব না থাকায় ২৫টি বিষয় আলোচনার বাইরে থেকে যায় বলে জানান আলী রীয়াজ।