
বরিশালের বাবুগঞ্জে আলোচিত ছাত্রদল নেতা রবিউল ইসলাম হত্যা মামলায় বিএনপির অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের ১২ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে তারা বরিশাল সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক মো. ফারুক হোসেন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন বাবুগঞ্জ উপজেলার ঠাকুর মল্লিক এলাকার নাবীদ হাসান শান্ত, মিজানুর রহমান কবিরাজ, মো. বাবুল হাওলাদার, চর হোগলা এলাকার শফিউল আজম শাহিন ফরাজী, এমদাদুল হক মিলন ও তার ভাই জহিরুল ইসলাম, সাইদুর রহমান, খান মো. সোহাগ, সফিকুল ইসলাম সবুজ হাওলাদার, রফিক মুন্সি, সুমন বেপারী ও আব্দুল্লাহ হাওলাদার। তারা সবাই স্থানীয় ছাত্রদল, যুবদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মী।
বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুল ইসলাম জানান, আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। সোমবার জামিনের মেয়াদ শেষ হলে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। বিচারক তা না মঞ্জুর আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৭ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘিরে একই দিন রাতে বাবুগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নে মিষ্টি বিতরণকে কেন্দ্র করে নিজ দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে নিহত হন ছাত্রদল নেতা রবিউল ইসলাম (২৬)।
রবিউল আগরপুর গ্রামের বাসিন্দা একই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও মিজানুর রহমান ওরফে দুলাল হাওলাদারের ছেলে।
এজাহারের বরাতে বেঞ্চ সহকারী জানিয়েছেন, ছাত্রদল নেতা রবিউল ইসলাম ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে সম্প্রতি ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি বাবুগঞ্জে যান। গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে এলাকায় মিষ্টি বিতরণকে ঘিরে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এ সময় পূর্ব শত্রুতার জেরে একদল যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে রবিউল ইসলামের ওপর হামলা চালায়। তারা চাকু, ছোরা, সুইচ গিয়ার, লোহার রড ও লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে তাকে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হালিমা মান্নান মেমোরিয়াল হাসপাতাল এবং পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।