
দেশে মতের অমিলকে যেভাবে শত্রুতার চোখে দেখা হয়, তা গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য বড় বাধা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ভিন্ন মত প্রকাশ করলেই ব্যক্তি আক্রমণ ও মিথ্যা প্রচারণার মুখোমুখি হতে হয়, যা থেকে সবারই সরে আসা উচিত।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, পুরো দেশ এখন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এই নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশ আবার একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশে ফিরতে পারবে। তার মতে, গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রে মতের অমিল থাকতেই পারে, কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান জানাতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে অপপ্রচার চালানো গণতন্ত্রকে দুর্বল করে। ফখরুল বলেন, বিএনপি প্রমাণিত একটি রাজনৈতিক দল। দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বন্ধ থাকা পত্রিকাগুলো পুনরায় চালু করেছিলেন এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। একইভাবে বেগম খালেদা জিয়াও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ভূমিকা রেখেছেন।
তিনি আরও বলেন, চাকরি বা অন্যান্য ক্ষেত্রে নিজেদের অধিকার শক্তিশালী করতে হলে সাংবাদিক ইউনিয়নকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে হবে। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের অনুসারী হয়ে নয়, নিজেদের শক্তি দিয়েই দাঁড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।