
বন্ধু রিফাতের ফোনে কল বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে রিসিভ করতেই অপরপ্রান্ত থেকে বন্ধু আব্দুল আউয়াল বলল, দুঃখিত সময়ের অভাবে দেখা করে আসতে পারিনি। বিদেশ চলে যাচ্ছি। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে ফ্লাইটে।
কিছুতেই রিফাত বিশ্বাস করছিল না, প্রবাসগামী আউয়ালের কথা। বন্ধুর বিশ্বাসের জন্য আউয়াল তার পাসপোর্টের ভিসা সংযুক্ত ছবি ও বিমানের টিকিটের ছবি পাঠায় বন্ধু রিফাতের ফোনে। এটাই কাল হয়ে গেছে আউয়ালের। বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন-সাধ যে মিটে যাবে বুঝে উঠতে পারেনি সে।
বিশ্বস্ত বন্ধু রিফাত তাৎক্ষণিক ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে পুলিশকে জানান- ছাত্রলীগের পলাতক নেতা মামলার আসামি আউয়াল বিদেশে পালিয়ে যাচ্ছেন। ঢাকা বিমানবন্দর পুলিশের ইমিগ্রেশন শাখা আউয়ালকে আটক করে। কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পর এখন আসামি হয়ে আউয়াল নোয়াখালী কারাগারে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ছাত্রলীগ নেতা আবদুল আউয়ালকে রোববার দুপুরে নোয়াখালী আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আব্দুল আউয়াল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের ছেলে। আটক আউয়াল ও তার বন্ধু রিফাত দুজনই একই সংগঠন রামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা; কিন্তু রিফাত বন্ধু হয়ে কোন কারণে বন্ধু আউয়ালের সর্বনাশ করেছে- এ প্রশ্ন সবার।
এলাকাবাসীর দাবি, গ্রেফতার আউয়ালের বন্ধু রিফাতকেও আইনের আওতায় আনা হোক। তিনিও ছাত্রলীগের ব্যানারে বিগত সরকার আমলে অনেক অপকর্মের নায়ক।