
কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া শ্রমিকদলের নেতা আবেদুর রহমান আন্নুর (৫৩) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর জেলার পদ্মা নদীসংলগ্ন ডিক্রির চর ইউনিয়নের কবিরপুর এলাকা থেকে নৌ পুলিশ অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে কুষ্টিয়া থেকে পরিবার রাত ৩টায় ফরিদপুরে পৌঁছে আন্নুর পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকালে ফরিদপুর অঞ্চলের কোতোয়ালি নৌ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক নাসিম আহম্মেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন
মৃত আবেদুর রহমান আন্নু কুষ্টিয়া জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক ও সদর থানা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক। ১৬ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তিনি সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন এলাকার পদ্মা নদী থেকে নিখোঁজ হন। এ ব্যাপারে পরদিন ১৭ নভেম্বর আন্নুর স্ত্রী জিয়াসমিন আরা রুমা কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ফায়ার সার্ভিস ও খুলনা থেকে আসা ডুবুরি দল টানা দুই দিন উদ্ধার অভিযান চালিয়েও আন্নুকে খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়।
জানা যায়, ঘটনার দিন সকাল ৯টার দিকে আন্নু পদ্মা নদীর হাটশ হরিপুর মোহনায় মাছ কেনার জন্য যান। বেলা ১১টার দিকে চর ভবানীপুর এলাকায় যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবোঝাই বাল্কহেড ট্রলারের সঙ্গে তার ডিঙি নৌকার ধাক্কা লাগে। এতে আন্নু ও নৌকার মাঝি পানিতে পড়ে যান। স্থানীয় জেলেরা নৌকার মাঝিকে উদ্ধার করলেও আন্নুর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মৃত আন্নুর ভাইয়ের ছেলে অর্ণব হাসান মঙ্গলবার দুপুরে মোবাইল ফোনে বলেন, রাতেই লাশের ছবি দেখে আমরা নিশ্চিত হয়েছি উদ্ধার হওয়া লাশ আমার চাচার। সুরতহাল প্রতিবেদন করে এই মাত্র ময়নাতদন্ত শেষ করা হয়েছে। কিছু সময়ের মধ্যে চাচার মরদেহ নিয়ে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হব।
নৌ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক নাসিম আহম্মেদ বলেন, পরিবারের সদস্যরা লাশ শনাক্ত করেছেন। লাশের শরীরে আঘাতের তেমন কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কিছু আইনগত প্রক্রিয়া আছে। সেগুলো শেষ করে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, নৌ পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। আন্নু নিখোঁজের ঘটনায় তার স্ত্রী থানায় জিডি করেছিলেন।