
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেসসচিব শফিকুল আলম মন্তব্য করেছেন, দেশ ছেড়ে পালিয়েও শেখ হাসিনার সন্ত্রাস থামছে না। এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গুম, খুন ও নাশকতার রাণী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ আবারও প্রমাণ করেছে যে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা কতটা যৌক্তিক ছিল।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) নিজস্ব ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে শফিকুল আলম এই মন্তব্য করেছেন।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, “গত কয়েকদিন ধরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পলাতক নেতাদের উসকানিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে চোরাগোপ্তা কায়দায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগ ঘটিয়ে জনমনে নতুন করে আতংক সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “১৯৭১ সালে লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে শুরু থেকেই একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আলোচনায় এসেছে আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থাকে বুকের রক্ত দিয়ে চ্যালেঞ্জ করে এদেশের মুক্তিকামী শিক্ষার্থী, শ্রমিক ও জনতা আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করেছে। সন্ত্রাসের জননী শেখ হাসিনা ১৩৭ শিশুসহ সহস্রাধিক মানুষ হত্যা করার পরও গণআন্দোলনে টিকতে না পেরে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। কিন্তু পালিয়ে গিয়েও তার সন্ত্রাস থামছে না।”
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বিষয় উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, “বর্তমানে দেশ যখন একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে এগোচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই তা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের পছন্দের নয়। দলটি গত কয়েকদিন ধরে অনলাইনে ও অফলাইনে তারই বহিপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগের এই চোরাগোপ্তা সন্ত্রাস দেশের মানুষকে ভীত করতে পারবে না।”
প্রেসসচিব জানান, ইতিমধ্যেই নাশকতার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বেশ কিছু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করেছে। সরকার এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং নাগরিকরাও সজাগ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে গুম, খুন ও নাশকতার রাণী শেখ হাসিনা ও তার দল আবারও প্রমাণ করেছে যে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা ছিল যথার্থ। পালানোর পর থেকে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীরা যে সমস্ত বক্তব্য ও বিবৃতি দিয়েছে, তা মূলত সন্ত্রাসকে উসকে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই প্রেরিত, রাজনীতিতে ফেরার কোনো ন্যূনতম উদ্দেশ্য সেখানে নেই।”