
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, গাজার শান্তি বাহিনীতে পাকিস্তান তাদের সৈন্য পাঠাতে প্রস্তুত, তবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে কোনোভাবে নিরস্ত্র করার কাজে তাদের কোনো ভূমিকা থাকবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) গঠনের প্রস্তাব রয়েছে। এই বাহিনী মূলত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সৈন্যদের সমন্বয়ে কাজ করবে।
আলোচনায় যুক্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, শিগগিরই পাকিস্তান সরকার এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে। বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায় কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, সরকার ও সামরিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আলোচনা এখন ‘উন্নত পর্যায়ে’ রয়েছে। অভ্যন্তরীণ পরামর্শের ভিত্তিতে ইসলামাবাদ এই মিশনে অংশ নিতে আগ্রহী বলে ধারা গঠিত হচ্ছে।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজার সংঘাত সমাধানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার ভিত্তিতে একটি মার্কিন খসড়া প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এতে ফিলিস্তিনি অঞ্চলের জন্য আইএসএফ অনুমোদিত হবে।
পাকিস্তানসহ ১৩টি নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্র এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে, তবে রাশিয়া ও চীন ভোটদান থেকে বিরত ছিল। হামাস এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং আন্তর্জাতিক বাহিনী প্রতিষ্ঠার উদ্যোগেরও নিন্দা জানিয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেন, “আমরা অবশ্যই এই বাহিনীতে অবদান রাখতে প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই নীতিগতভাবে ফিল্ড মার্শালের সঙ্গে পরামর্শের পর ঘোষণা দিয়েছেন যে, আমরা অংশগ্রহণ করব। তবে আইএসএফ-এর ম্যান্ডেট ও শর্তাবলী নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।”