
ইরানকে লক্ষ্য করে ২০১৮ সালের পর সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা দেশটির তেলখাতকে কেন্দ্র করে পরিচালিত একটি বিস্তৃত আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ককে টার্গেট করেছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইরান ও রাশিয়ার হয়ে ‘অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ডে’ অর্থ জোগানোয় যুক্ত ১৫টি শিপিং কোম্পানি, ৫২টি জাহাজ, ১২ জন ব্যক্তি ও ৫৩টি প্রতিষ্ঠানের ওপর একযোগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এসব সত্তা বিশ্বের ১৭টি দেশে সক্রিয়।
মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এক বক্তব্যে বলেন, “এই নিষেধাজ্ঞাগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ নীতি’র পর সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ। এর লক্ষ্য হলো ইরানি শাসকদের ক্ষমতা খর্ব করা এবং মার্কিন নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখা।”
এই নতুন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নাম এসেছে মোহাম্মদ হোসেইন শামখানির, যিনি ইরানের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনীতিক আলী শামখানির ছেলে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, মোহাম্মদ হোসেইন গোপনে একটি তেল পরিবহন চক্র পরিচালনা করতেন, যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পাশ কাটিয়ে ইরানের বৈদেশিক কার্যক্রমে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হতো।
এই নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইঙ্গিত দিয়েছে, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পরিচালিত আর্থিক ও জ্বালানি কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তারা আরও কড়াকড়ি প্রয়োগ করতে যাচ্ছে।
সূত্র: শাফাক নিউজ