
গণঅভ্যুত্থান না হলে আপনারা নির্বাচনের স্বপ্নই দেখতে পেতেন না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, উল্টো শেখ হাসিনার অধীনে আপনাদের আরও চার বছর অপেক্ষা করতে হতো।
সোমবার (২৮ জুলাই) জামালপুর শহরের ফৌজদারিতে ‘দেশ গড়তে জুলাই’ পদযাত্রার ২৮তম দিনে জামালপুর শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব লুৎফর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য মশিউর রহমান শুভ, জাতীয় যুবশক্তির যুগ্ম আহ্বায়ক হিফজুর রহমান বকুলসহ আরও অনেকে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন যদি গনঅভ্যুত্থানে না নিয়ে যেতাম,পতনের দিকে না নিয়ে যেতাম আপনারা শেখ হাসিনার অধীনে আরও ৪ বছর অপেক্ষা করতেন, এনসিপিকে নির্বাচন ঠেকানোর অভিযোগ তোলা হলেও বাস্তবতা হলো নাগরিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এনসিপির আন্দোলনই আজ নির্বাচনের আলোচনা সম্ভব করেছে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে একটি উচ্চ কক্ষ গঠনের বিকল্প নেই। জাতীয় সংসদকে দুই কক্ষে ভাগ করে ভোটের অনুপাতে উচ্চ কক্ষ নির্ধারণ করতে হবে। এতে করে জবাবদিহিমূলক ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা পাবে।
তিনি জানান, উচ্চ কক্ষ নিয়ে ঐকমত্য না হওয়ায় এনসিপির ‘জুলাই সনদ’ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়ে আগামী ৫ আগস্ট সর্বদলীয়ভাবে ‘জুলাই সনদ’ উদযাপন করবে।
একটি দলকে ইঙ্গিত করে তিনি অভিযোগ করেন, তারা সারা দেশে তৃণমূলে একক আধিপত্য তৈরির চেষ্টা করছে। ভিন্ন মত থাকলেই বিরোধিতা করা হচ্ছে।
পথসভায় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা বলেন, রাষ্ট্রব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এবং গুম-খুনের বিচার চাই আমরা। আর যেন কুক্ষিগত ক্ষমতা ফিরে না আসে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এর আগে সকালে জামালপুর জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ ইসলাম। এরপর হরিজন পল্লী পরিদর্শন ও শহরের তমাল থেকে ফৌজদারী মোড় পর্যন্ত পদযাত্রায় অংশ নেন তিনি ও কেন্দ্রীয় নেতারা। পদযাত্রায় জেলার সাত উপজেলা থেকেও বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।