
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি পূরণ না করায় স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম খোরশেদ আলম (৫৭) ও তার স্ত্রী শিরিনা আক্তারকে মারধর করে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীরা শুধু হুমকি দিয়েই থেমে থাকেনি, বাড়িঘর ভাঙচুর করে হত্যার ভয়ও দেখিয়েছে বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সোনারগাঁও পৌরসভার গোয়ালদি (হরিসপুর) গ্রামে। পরদিন বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) আহত খোরশেদ আলম বাদী হয়ে একই এলাকার মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে শাহ আলম (৬০), তার ছেলে রিফাত (২৭), স্ত্রী পারভীন আক্তারসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন ধরে ইমাম খোরশেদ আলম সোনারগাঁওয়ের বাসিন্দা হলেও ইমামতি করে আসছেন মেঘনা উপজেলার বড় কান্দা পশ্চিমপাড়া চিশতিয়া নিজামিয়া দরবার শরীফ জামে মসজিদে। জমি নিয়ে বড় ভাই শাহ আলমের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চলছিল বহুদিন। সম্প্রতি বাড়ির সামনে দিয়ে নতুন রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিরোধ আরও তীব্র হয়। এর মধ্যে শাহ আলমের ছেলে রিফাত খোরশেদের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বুধবার দুপুরে রিফাতের নেতৃত্বে শাহ আলম, তার স্ত্রী পারভীনসহ ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় খোরশেদ আলম ও তার স্ত্রীকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত ইমাম খোরশেদ আলম অভিযোগ করে বলেন, “আমি বাড়িতে না থাকলে আমার স্ত্রী-সন্তানদের ওপর নিয়মিত নির্যাতন চালায় শাহ আলম। মাঝে মধ্যেই চাঁদা দাবি করে, বাড়িঘরে হামলা করে। এবারও তার ছেলে রিফাত দুই লাখ টাকা দাবি করেছিল। টাকা না দেওয়ায় আমাকে আর আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম করেছে।”
তবে অভিযুক্ত রিফাত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, “চাঁদার কোনো বিষয় নয়, জমি নিয়ে ধস্তাধস্তিই হয়েছে।”
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, “ইমাম ও তার স্ত্রীকে মারধর এবং চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”