
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন দেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। তার এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সুর মিলিয়ে নির্বাচনী মাঠ ছাড়েন ঢাকার প্রভাবশালী ক্লাব সংগঠকদের একটি বড় অংশও।
নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সোমবার অনুষ্ঠিত হয় বিসিবি নির্বাচন। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই সভাপতি নির্বাচিত হন আরেক সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তার আগে পরিচালক পদে জয় পান তিনি। তবে ভোটের স্বচ্ছতা ও প্রক্রিয়া নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন, যার বেশিরভাগই এসেছে বয়কটকারী পক্ষের কাছ থেকে।
বুধবার অনুষ্ঠিত এক আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয়ে খোলাখুলি বক্তব্য দেন তামিম ইকবাল। সেখানে তিনি দাবি করেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিলেই তিনি জয়ী হতেন।
তামিম বলেন, ‘আমি এটা গ্যারান্টি দিয়ে বললাম, আমি স্বতন্ত্র হিসেবেও যদি দাঁড়াতাম আমার পক্ষে কোনো টিম আছে, আমার বিপক্ষে কোনো টিম আছে, তারপরও আমি সহজে পাস করতাম। এটা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ ছিল না। আপনি কি মনে করেন ১৫ ক্লাব থাকুক আর না থাকুক আমার জন্য কেউ ভোট করত না? আমার জন্য (নির্বাচনের) বাস ধরা না ধরা কোনো অপশন ছিল না। আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল একটি ফেয়ার ইলেকশন হওয়া।’
তার কথায় স্পষ্ট, তিনি নির্বাচন নয় বরং একটি পরিকল্পিত নির্বাচনের অংশ হতে চাননি। প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন বলে জানান এই ওপেনার।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে যেন ক্লাব সংগঠকরা নিজেদের অবস্থান থেকে না সরে যান, সেই আহ্বানও জানান তামিম। তার ভাষায়, ‘কিছু অলিখিত রুলস থাকে, আমি সেগুলো ভাঙতে চাই না। সমঝোতার সঙ্গে আমরা একমত ছিলাম না বলেই তো আমরা বের হয়ে এসেছি। উনারা যেটা সঠিক মনে করেছেন, সেটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা নিয়ে কোনো ধরনের অভিযোগ নেই। কিন্তু আজকে আপনারা যে স্টেটমেন্ট দিচ্ছেন, এই স্টেটমেন্টটাই রাখবেন। ভবিষ্যতে যদি কোনো কিছু হয়, স্টেটমেন্ট বদলে ফেলে আমাদের সঙ্গে এসে বসে যাবেন না।’
নির্বাচনের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তামিম। তিনি সরাসরি বলেন, এটি কোনো নির্বাচন ছিল না। বিশেষ করে ই-ভোটিং প্রক্রিয়া নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘আমি মনে করি না এটা কোনো ইলেকশন ছিল। নির্বাচনে সবচেয়ে হাস্যকর যে বিষয়টা লেগেছে সেটা হলো ক্যাটাগরি ২-এ ৪২ ভোট পড়েছে, যার মধ্যে ৩৪টি ই-ভোট হয়েছে, যারা ই-ভোট দিয়েছে তাদেরকেও সেন্টারে দেখেছি। তাহলে কথা হলো তারা কেন ই-ভোট দিলো, ই-ভোট দেয়ার রুলস হলো যারা স্বশরীরে আসতে পারবে না তাদের জন্য, তাহলে এমন ভোটের মোটিভটা কী? আপনি ই-ভোটিং করছেন আবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেন্টারেই থাকছেন তাহলে ই-ভোট করার দরকার কী ছিলো?’