
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার ঢাকার ৬ষ্ঠ যুগ্ম জেলা জজ রোবায়েত ফেরদৌস এ আদেশ দেন। আদালতের এই সিদ্ধান্ত আসে মামলার বাদী, জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ মামলাটি প্রত্যাহার করার পর।
জিএম কাদেরের আইনজীবী মনোয়ার হোসাইন আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১২ আগস্ট বাদীর আবেদনক্রমে ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালত মামলাটি প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। গত ২ আগস্ট জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খানও মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
৩০ জুলাই মামলায় জিএম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম তখন এটি মঞ্জুর করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি জিএম কাদেরকে পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর জিএম কাদের পার্টির সম্মেলন ও কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদন করেন। ২০২৫ সালের ২৮ জুন প্রাথমিক সদস্যসহ সাতজন প্রেসিডিয়াম সদস্যকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং পরে আরও তিনজনকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। তাদের নাম জাতীয় পার্টির ওয়েবসাইট থেকেও মুছে ফেলা হয়।
এ ঘটনায় গত ১০ জুলাই মুজিবুল হক চুন্নু, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ ১০ জন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন।