
ডেমরা থানার তাঁতী দলের সদস্য সচিব মো. মুকুল শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন, যেখানে তিনি তাঁর ছেলে এহসানুল হক তায়িফকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। তায়িফকে অবশ্য বর্তমানে পলাতক হিসেবে রাখা হচ্ছে। পোস্টটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
মুকুল স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, তার ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সজল কুন্ডের সঙ্গে মিলে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তিনি আরও লিখেছেন, তায়িফ ডেমরা-যাত্রাবাড়ী থানার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের গণহত্যার মামলার অন্যতম আসামি এবং ডেমরা থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ও দুইটি বিচারাধীন মামলা রয়েছে। মুকুল সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন, যিনি তাকে দেখবেন, তাকে আইন অনুযায়ী পুলিশের হাতে তুলে দিন।
সন্তানের প্রতি তার অগাধ মমতা থাকলেও মুকুল বলেন, দেশের স্বার্থে, সমাজের শান্তি ফিরিয়ে আনার স্বার্থে আমি কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতে পারি না। অপরাধী আমার সন্তান হলেও, সে অপরাধীই।

এই অবস্থান সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেকে এটিকে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে বিরল দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন, যেখানে ব্যক্তি স্বার্থের চেয়ে সমাজের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে এ ঘটনায় তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
ডেমরা থানার সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আনিসুজ্জামান বলেন, যদি একজন নেতা দেশের স্বার্থে নিজের সন্তানকেও ছাড় না দেন, তবে এটি সমাজে শক্ত বার্তা দেবে। অপরাধী যে-ই হোক, তাকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, সে যতই প্রভাবশালী হোক।
ডেমরায় দীর্ঘদিন ধরেই দলীয় কোন্দল ও গ্রুপিং চললেও, এবার একজন নেতা প্রকাশ্যে নিজের সন্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন।