
গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মো. নাজমুল করিম খানকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার পুলিশ সদর দপ্তরে রিপোর্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে, “গাজীপুরের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার নিকট দায়িত্ব অর্পণ করে মঙ্গলবার আপনাকে পুলিশ সদর দপ্তর ঢাকায় রিপোর্ট করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।”
নাজমুল করিম খান ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর জিএমপি কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। চলতি বছরের ১ মে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হন।
সাম্প্রতিক সময়ে গাজীপুর মহানগরে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে। সন্ধ্যার পর রাস্তায় চলাচলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এসব ঘটনার পেছনে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের একটি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে গাজীপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ‘খুবই খারাপ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা বেড়েছে, এমনকি দিনে-দুপুরেও এসব ঘটনা ঘটছে। অথচ সংশ্লিষ্ট থানাগুলোর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। বরং তারা মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে মাসোহারা গ্রহণ করছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া, নাজমুল করিম খানের যাতায়াতের সময় সড়ক ব্যবস্থাপনায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি প্রতিদিন গুলশানের বাসা থেকে গাজীপুর যাওয়ার পথে টঙ্গীর কলেজগেট এলাকায় উড়ালসড়ক একমুখী করে দেওয়া হয়, এতে ঢাকামুখী যান চলাচল বন্ধ থাকে। একইভাবে ঢাকায় ফেরার সময় গাজীপুরের ভোগড়া এলাকায় উড়ালসড়ক একমুখী করে গাজীপুরমুখী যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এই বিষয়গুলোও পুলিশ সদর দপ্তরের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।