
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, চব্বিশের জুলাই শুধু বীরত্বের নয়, বেদনারও গল্প। জুলাই জাদুঘরের মাধ্যমে সেই বেদনা আমরা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। চট্টগ্রামে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ফয়সাল আহমদ শান্ত’র বাসায় তার মাকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, এখানে এসে শহীদ পরিবারের যে বেদনাটা দেখলাম সেই বেদনা যেন জুলাই জাদুঘরের ভিজিটরদের কাছে আমরা পৌঁছাতে পারি। সে লক্ষ্যে শহীদদের ব্যবহৃত জিনিসগুলো সংগ্রহের কাজ আমরা চট্টগ্রাম থেকে শুরু করেছি। আগামী দেড় মাস দেশজুড়ে এ কাজ চলবে।
রবিবার সকালে নগরীর লালখান বাজার শহীদ শান্তর বাসায় যান সংস্কৃতি উপদেষ্টা। শান্ত’র মা উপদেষ্টার হাতে ছেলের পোশাক ও ব্যবহার্য জিনিসপত্র তুলে দিয়ে ছেলে হত্যার বিচার দাবি করেন।
পরে সংস্কৃতি উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের ব্যাপারে সরকার সবচাইতে ফোকাসড। আমি সরকারে ঢোকার পর বুঝতে পারি নিয়মতান্ত্রিক জটিলতা কত ভয়াবহ। ধরেন আমি দৌঁড়ায় ১০০ মিটার গতিতে। নিয়ম আমাকে টেনে ধরে বলে দৌড়াও ম্যারাথনের গতিতে। এটা বাস্তবতা। সে বাস্তবতার মধ্যেই আজ থেকে একটা মামলার বিচার কাজ শুরু হয়েছে। এটা লাইভ সম্প্রচার করা হচ্ছে টেলিভিশনে। যাতে করে সবাই জানতে পারে এখানে কী হচ্ছে। আমরা কোনো অন্যায় বিচার চাই না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে জুলাইতে যে জুলুম হয়েছে এবং আগের ১৬ বছর যা হয়েছে সব আমাদের চোখের সামনে ঘটেছে। আমরা একটা শক্ত বিচার চাই। সেই ন্যায়বিচার হলে আপনারা দেখবেন অপরাধী তার প্রাপ্য শাস্তি পাবে। আজকে প্রসেসটা শুরু হয়েছে। আমি নিশ্চিত প্রত্যেকটা মামলার বিচার হবে। আর জুলাই জাদুঘরের কাজ হবে খুনির সব অপরাধ জাতির সামনে তুলে ধরা। যেন ৫০ বছর পর আমরা যখন কেউ থাকব না, তখনকার প্রজন্ম তারা যেন জাদুঘরে গিয়ে দেখতে পায় আসলে কী হয়েছিল।
পরে সংস্কৃতি উপদেষ্টা চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে শহীদ শহিদুল ইসলাম ও মো. ফারুকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের ব্যবহার্য সামগ্রী গ্রহণ করেন।