
দেশজুড়ে আমন মৌসুমে যখন জমিতে সারের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তখন কৃষকদের পড়তে হচ্ছে চরম বিপাকে। প্রয়োজনীয় সার না পেয়ে কেউ খালি হাতে ফিরছেন দোকান থেকে, কেউ আবার বাধ্য হচ্ছেন বাজারের অতিরিক্ত দামে সার কিনতে। এই বাস্তবতায় সারের উৎপাদন ব্যয় আরও বাড়তে চলেছে, কারণ গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
সারের সংকট যখন মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের ক্ষুব্ধ করে তুলছে, ঠিক তখনই বিইআরসি ঘোষণা দিয়েছে, সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য তারা গণশুনানি আয়োজন করতে যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সারের উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে, যার প্রভাব সরাসরি পড়বে কৃষক পর্যায়ের দামে।
আমনের ভরা মৌসুমে সার পেতে চরম ভোগান্তির অভিযোগ তুলেছেন অনেক কৃষক। বিশেষ করে, ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট বা ডিএপি এবং ইউরিয়া সারের জন্য ডিলার পয়েন্ট ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ঘুরে শূন্য হাতে ফেরার অভিযোগ করেছেন অনেকে।
এমনকি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিলও করেছেন স্থানীয় অনেকে।
তাদের দাবি, আমনের ভরা মৌসুমে ইউরিয়া, টিএসপি ও ডিএপি সারের ঘাটতি চরম আকার ধারণ করেছে। দোকানে দোকানে ঘুরেও চাহিদা অনুযায়ী সার মিলছে না।
স্থানীয় একজন কৃষক বলেন, "ডিলার বলে, সার নাই। আমিতো বাজারের দুকানে সার দেখছি, অনেক বেশি দাম দিয়ে বিক্রি হচ্ছে।"
সূত্র: বিবিসি বাংলা