
রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহতাব রহমান ভূঁইয়ার লাশ কুমিল্লার দেবিদ্বারে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
বৃহস্পতিবার বাদ এশা উপজেলার চুলাশ উখারী বাজার শাহী ঈদগাঁ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে তাকে।
বিকালে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন মাহতাবের চাচা মিজানুর রহমান ও ছোট মামা রকিবুল হাসান রাকিব।
তার মামা রকিবুল হাসান রাকিব জানান, হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে গ্রামের বাড়ি দেবিদ্বারের চুলাশে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে মাহতাবের মৃত্যু হয়। মাহতাব জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চতুর্থতলার আইসিইউর (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) ১১নং বেডে চিকিৎসাধীন ছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন তার প্রায় ৮৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। প্রথমে আইসিইউ এবং পরে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। এ নিয়ে শুধুমাত্র বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ জনের মৃত্যু হয়।
তার মামা রকিবুল হাসান রাকিব বলেন, চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেছেন। ভাগ্নে মাহতাবকে আর বাঁচানো যায়নি। মৃত্যুর খবরে তার মা-বাবা অনেকটা বাকরুদ্ধ। ঘটনার পর থেকে তারা হাসপাতালে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি বলেন, মাহতাব রহমান ভূঁইয়া দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের চুলাশ ভূঁইয়া বাড়ির মিনহাজুর রহমান ভূঁইয়ার একমাত্র ছেলে। তারা ঢাকার উত্তরায় একটি বাসায় থাকেন। সে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংলিশ ভার্সনের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা মিনহাজুর রহমান ভূঁইয়া গ্রেটওয়াল সিরামিকের এজিএম।
মাহতাবের এ অকাল মুত্যুতে তার গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। ইতোপূর্বে অগ্নিদগ্ধ মাহতাবের ছবি ভাইরাল হয়। তার সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করে অনেকেই ফেসবুকে ছবি পোস্ট করেন। বুধবার থেকে তার মৃত্যুর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, শরীরের ৮৫ ভাগ পুড়ে যাওয়ায় শুরু থেকে মাহতাবের অবস্থা ছিল সংকটাপন্ন। তাকে সারিয়ে তুলতে সব রকমের চেষ্টা চালানো হয়। এর মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।