
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন খুব কমই বিদেশ সফরে যান। আর গেলে বিমানের বদলে ভরসা করেন বিশেষ সাঁজোয়া ট্রেনে। এবারও সেই ট্রেনেই তিনি পৌঁছান চীনে, বিজয় দিবসের সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দিতে।
তবে সফরের চেয়েও আলোচনায় এসেছে এক ভিডিও ফুটেজ। বেইজিংয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রকাশিত সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, কিম জং উনের উপস্থিতির সব চিহ্ন নিখুঁতভাবে মুছে ফেলছেন তার সহকারীরা। যা অনেকের কাছে কূটনৈতিক শিষ্টাচারের চেয়ে বরং গোয়েন্দা চলচ্চিত্রের দৃশ্যের মতো মনে হয়েছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেইজিংয়ের সামরিক কুচকাওয়াজ শেষে কিম ও পুতিন বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কিমের দুই সহযোগী দ্রুত পরিস্কার–পরিচ্ছন্নতার কাজে লেগে যান। একজন কিমের বসা চেয়ারের পেছনের অংশ সাবধানে মুছছিলেন, আরেকজন তার ব্যবহৃত গ্লাসটি ট্রেতে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। শুধু তাই নয়, টেবিল, চেয়ারের হাতলসহ কিম স্পর্শ করা প্রতিটি জিনিসপত্রও জীবাণুমুক্ত করা হয়।
রুশ সাংবাদিক আলেকজান্ডার ইউনাশেভ তার চ্যানেল ইউনাশেভ লাইভ-এ লিখেছেন, “আলোচনার পর উত্তর কোরিয়ার কর্মীরা কিমের উপস্থিতির প্রতিটি চিহ্ন সাবধানে মুছে ফেলেন। ব্যবহৃত গ্লাস থেকে শুরু করে কুশন পর্যন্ত সবকিছু সরিয়ে নেওয়া হয়।”
যদিও এই ব্যতিক্রমী পদক্ষেপের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি। বিশেষজ্ঞদের অনেকে ধারণা করছেন, এটি রাশিয়ার শক্তিশালী নিরাপত্তা সংস্থার বিপরীতে একটি অতিরিক্ত সতর্কতা। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি হয়তো চীনের নজরদারি এড়ানোর একটি কৌশল।
বৈঠক শেষে অবশ্য কিম ও পুতিন দুজনেই সন্তুষ্ট হয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যান বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনাশেভ।