
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ সহকারী ও চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি ইয়ারম্যাক পদত্যাগ করেছেন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাতেই জেলেনস্কি তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে ইয়ারম্যাকের বাড়িতে তল্লাশি চালায় দেশটির দুর্নীতিবিরোধী দুটি সংস্থা।
সম্প্রতি জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যক্তি ও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্বালানি খাত থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ সামনে আসে। জ্বালানি সংকটে ভুগতে থাকা সাধারণ মানুষ এসব তথ্য প্রকাশের পর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
যদিও ইয়ারম্যাকের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তবু তাকে ঘিরেও অভিযোগ উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে তার বাসায় অনুসন্ধান চালানো হয়।
ইয়ারম্যাককে ইউক্রেনের দ্বিতীয় সর্বাধিক ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হতো। রাষ্ট্রের প্রায় সব ক্ষেত্রেই তার প্রভাব ছিল, পাশাপাশি যুদ্ধবিরতি আলোচনায় তিনি ইউক্রেনের প্রধান প্রতিনিধির দায়িত্বও পালন করছিলেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্বালানি খাতের এই ভয়াবহ দুর্নীতি জেলেনস্কির রাজনৈতিক অবস্থানকে নড়বড়ে করে দিয়েছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ শান্তি আলোচনার সময়ে অর্থচুরির তথ্য ফাঁস হওয়ায় কূটনৈতিক প্রক্রিয়াও ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
ইয়ারম্যাকের পদত্যাগের পর এখন নতুন প্রধান আলোচক নিয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেনস্কি।