
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার। তিনি বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ও চীন তাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করবে, যা উভয় দেশ ও বিশ্বের জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনবে।”
তিনি চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জনসেবায় কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে অর্জিত সাফল্যের পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এর অবদানের প্রশংসা করেন।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “২০২৫ সাল কেবল গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নয়, বরং জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকীও।” তিনি বলেন, “চীনের কমিউনিস্ট পার্টির শক্তিশালী নেতৃত্বে, চীনা জনগণ নিরঙ্কুশ দারিদ্র্য দূরীকরণের অলৌকিক সাফল্য অর্জন করেছে। চীন সর্বদা বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির জন্য একটি শক্তি হিসেবে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে তিনি (শি চিনপিং) ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়েছেন, যা বহুপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার একটি নজির।”
তিনি বলেন, “দুই দেশ শ্রদ্ধা, আন্তরিকতা, কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন ও সমান সমান সহযোগিতার দ্বারা পরিচালিত সুসম্পর্কের ভিত্তিতে সর্বদা ভালো প্রতিবেশী, আন্তরিক বন্ধু ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হয়ে থাকবে।”
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অবকাঠামো, শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্য খাতে চীনের অবদানের প্রশংসা করে বলেন, এ ধরনের সহযোগিতা জনগণের জন্য বাস্তব সুফল বয়ে এনেছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “দুটি দেশ জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধন গড়ে তুলেছে। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।”
অনুষ্ঠানে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, প্রধান রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতা, বিদেশি কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, চীনা সম্প্রদায়ের সদস্য, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও থিংক ট্যাঙ্ক প্রতিনিধিসহ ৬০০ জনেরও বেশি অতিথি অংশ নেন।